পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে মরিশাসে গিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণী

পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে মরিশাসে গিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণী

অনলাইন ডেস্ক

পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে মরিশাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। দেশে ফিরে তিনি মামলা করলে এই ঘটনায় পাচারচক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর দক্ষিণখানে তার বাসা। তরুণীর বাবা ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংসারের খরচ যোগাতে এক জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সির খোঁজ পান।

এজেন্সির লোকজন বাবার বয়স বেশি হয়েছে জানিয়ে ওই তরুণীকে মরিশাসে চাকরি দিতে আগ্রহ দেখায়।

তারা সেখানে তাকে গার্মেন্টসে কাজ দেবে বলে জানায়। এর পরই প্রতারণা আর নির্যাতনের চক্রে পড়ে যান তিনি।

রামপুরা থানায় গত ৯ জুলাই করা মামলার এজাহারে ওই তরুণী বলেছেন, আফ্রিকার দ্বীপ দেশ মরিশাসে নেয়ার পর পোশাক কারখানার মালিকসহ একাধিক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন।

তারা হুমকি দেন, দেশে ফিরলে কাউকে কোনো অভিযোগ করা যাবে না। অভিযোগ করা হলে তাদের হাতে জিম্মি তার বাবাকে মেরে ফেলা হবে।

কোনো অভিযোগ করবে না এমন শর্তে মুক্তি পেয়ে অবশেষে দেশে আসেন ওই তরুণী। তবে তার বাবা এখনও মরিশাসে আসামিদের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন।

ওই তরুণী জানান, ধর্ষণের কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন মরিশাসে। আসামিরা সেখানে তাকে গর্ভপাত করান একটি হাসপাতালে। এতে তার জরায়ুতে সংক্রমণ ধরা পড়ে।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই ইনফেকশনের কারণে তার জরায়ুতে টিউমার অথবা ক্যানসার হতে পারে। তিনি এখন ব্র্যাকের মাধ্যমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শনিবার বিকেলে রামপুরা থানায় ওই তরুণী মানবপাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আলাদা ধারায় একটা মামলা করেছেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আকবর হোসেনকে। তিনি মেসার্স গোলাম রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।


আরও পড়ুনঃ

কী দিয়ে তৈরি রুটি বেশি উপকারী?

মেসি নয়, ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ডি মারিয়া

তালেবানের হুমকির জবাব দিলো আফগান সরকার

কোপার ফাইনালে ব্রাজিলের হারে ভক্তের বিষপান


বাকি আসামিরা হলেন গোলাম রাব্বি, আক্তার হোসেন, শাহ আলম, ফোরকান, সিদ্দিক, আসলাম, ভারতীয় নাগরিক অনিল কোহলি এবং অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন।

ওই তরুণী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সহায়তা চেয়েছেন। মন্ত্রণালয় তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

news24bd.tv / নকিব