রূপগঞ্জে নিহতদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

রূপগঞ্জে নিহতদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫১ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রত্যেক নিহতের পরিবারের জন্য ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, আহতদের বিনা খরচে চিকিৎসা এবং কর্মস্থানের দাবি জানিয়েছেন।

আজ দুপুরে রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি উপস্থিত ছিলেন।  

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, যারা আমাদের জীবনটাকে চলমান রাখে, যারা রাষ্ট্রকে চালু রাখে, তাদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদা না দিলে, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে, যা হবার তাই হয়েছে।

ফলে এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না। এটাকে যেন মনে হয় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যদিও হত্যা করেনি কেউ। সার্বিকভাবে এটা সরকারের ব্যর্থতা।
সরকারের একটি শিল্প বিভাগ আছে, তাদের পরিদর্শকরা এসে প্রতিনিয়ত দেখার কথা। এখানে তারা পা দিলেই বুঝতে পারত কোথায় কোথায় ঝুঁকি আছে। কেমিকেল কোথায় রাখা যাবে তার নিয়ম থাকলেও এখানে এর একটিও মেনে চলা হয়নি। দুর্নীতির ফলে পরিদর্শন না করে তারা রিপোর্ট দেয়।

হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সম্মেলিতভাবে দাবি করছি যারা মারা গেছে তাদেরকে অন্তত ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। যারা বেঁচে আছে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মক্ষম করে তুলতে হবে। তাদের কাজ দিতে হবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্র চিন্তার আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, মো. ফরিদ উদ্দিন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv নাজিম