রাজবাড়ীতে কোরবানির গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

রাজবাড়ীতে কোরবানির গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

Other

পবিত্র ঈদ উল আযহা’র বাকী ১১দিন। ঈদ উপলক্ষে খামারিরা গরু মোটাতাকরণ করেছেন। সকল প্রকার প্রস্তুতি রেখেছেন খামারিরা। গরু বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন।

কিন্ত করোনা-ভাইরাসের কারণে মূল্য নিয়ে দুশ্চিতায় খামারিরা।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে এবং খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিরাপদ মাংস নিশ্চিত করণে এই জেলায় ছোট-বড় মিলে ৮হাজার গবাদিপশু খামার গড়ে উঠেছে। এই খামারগুলোতে ৩৩ হাজার ৪১টি গবাদিপশু মোটাতাজাকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে কোনো ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়নি।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খামারে নিয়োজিত শ্রমিকরা গরুর যত্ন নিয়ে বিক্রি করতে তৎপর রয়েছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করেছেন খামারিরা।

তবে করোনার কারণে পশুর হাট শুরু না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। গত বছরের ন্যায় এবার গরু ক্রয়-বিক্রয় হবে কিনা তা নিয়ে খামারিরা শংকিত। স্থানীয়ভাবে পালিত এসব গবাদিপশু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে থাকেন খামারিরা। লাভজনক হওয়ায় অনেক বেকার যুবকরা আত্মনিয়োগ করেছেন এ পেশায়। সফলতাও পেয়েছেন অনেকে। কিন্তু করোনার কারণে হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে খামারিরা।

জেলার কালুখালী উপজেলা আদর্শ ফার্মের মালিক কাজী সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছর করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এবার ভারত থেকে গরু না আসে তাহলে খামারিরা লাভবান হবে। কিন্ত করোনা পরিস্থিতি এবং ভারত থেকে গুরু আসলে এবারও খামারিদের লোকসান গুনতে হবে। পথে বসতে হবে ছোট ছোট সাধারণ খামারিদের।

জেলার পাংশা উপজেলার জব্বার মোল্লা নামে এক খামারি জানান, গত বছর আমাদের অনেক লোকসান হইছে। এ বছর গরু মোটাতাজা করতে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এখনো পশু হাট বসা শুরু হয় নাই। দেশে কঠোর লকডাউন চলমান রয়েছে। আদৌ ঈদের আগে লকডাউন স্বাভাবিক হবে কিনা, সেটা জানি না। তবে ঈদের আগে পশুর হাট না বসলে এবং পশু বিক্রি করতে না পারলে খামারীদের লোকসান গুনতে হবে।

বালিয়াকান্দিতে সিদ্দিক নামের এক খামারি জানান, গো-খাদ্যের প্রচুর দাম। আমারা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি শুধু কোরবানির ঈদের জন্য। গত বছর আমার খামারে ৪০টি গরু ছিলো। লোকসানের কারণে এবছর আছে ১৪টি। তবে বাজারের যে অবস্থা দেখছি মনে হয় এবারও লোকসান গুনতে হবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক সরদার জানান, এ বছর জেলায় ৮হাজার খামারে ৩৩হাজার ৪১টি পশু মোটাতাজাকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগাল, ভেড়া, মহিষ।

তিনি আরও জানান, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ন্যায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গবাদিপশু’র হাট বসানো হবে।

আরও পড়ুন:


২৩০ জন মৃত্যুর দিনে নমুনা পরীক্ষা ৪০ হাজারেরও বেশি

দেশে আবারও করোনার রেকর্ড শনাক্ত

রাঙামাটিতে বন্যহাতির তাণ্ডব, বাড়ি-গাড়ি-দোকান বিধ্বস্ত


news24bd.tv / তৌহিদ