আজ বহুদিন পর ইংরেজদের সামনে সুযোগ রাজমুকুট মাথায় পরার!

নাজমুল হক শ্যামল

আজ বহুদিন পর ইংরেজদের সামনে সুযোগ রাজমুকুট মাথায় পরার!

Other

আয়তনে আমাদের বাংলাদেশের চেয়েও ছোট, অথচ এই দেশটি শাসন করেছে অর্ধেক পৃথিবী! মহাদেশ থেকে মহাদেশে তারা উড়িয়েছে তাদের বিজয় কেতন, যে পতাকার নাম তারা দিয়েছে ইউনিয়ন জ্যাক৷ তাদের রাজাকে রাজা মেনেছে বাকী দুনিয়া, রানিকে রানি!

সম্পূর্ণ স্বাধীন হয়েও এই সেদিন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ডাকটিকেটের কোনায় থাকতো রানি এলিজাবেথের মাথার আদলে মনোগ্রাম! তাদের খটমটে কেজো ভাষাটিকেও তারা চারিয়ে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী, আমাদের এই গাঙ্গেয় ব-দ্বীপেও দু'পাতা ইংরেজি লিখতে পারলে লোকে জাতে উঠে যায়, আর ফরফরিয়ে বলতে পারলে তো কথাই নেই৷ 'আরিব্বাস, ইংরেজের মতন কথা কয়!'--- আমরা বিস্ময় আর প্রশংসা মেশানো দৃষ্টিতে বক্তার দিকে তাকাই৷

যতই মুখে অস্বীকার করি, দু'শ বছরের ইংরেজ শাসন আমাদের রক্তে ঢুকিয়ে দিয়েছে এই আপ্তবাক্য, ইংরেজ রাজার জাত, ইংরেজি রাজার ভাষা! হাজার ভাষার দেশ ভারতবর্ষ, সেখানেও একজন তামিল আর একজন বাঙালির পরিচয় হলে তারা পরষ্পরের সাথে রাষ্ট্রভাষা হিন্দিতে নয়, ইংরেজিতে কথা বলে!

আমাদের দেশের পত্রিকার খেলার পাতাগুলোর নব্বুইভাগ জুড়ে থাকে যে দুটো খেলার খবর, দুটোই ইংরেজদের আবিষ্কার, ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট আর আমজনতার ফুটবল৷ 

মজার ব্যাপার হলো, এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়ায় ইংরেজরা তাদের ভাষা, শিল্প আর সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে পারলেও, নিজ মহাদেশ ইউরোপে কিন্তু এ কাজটি তারা মোটেই করতে পারেনি৷   ইংল্যাণ্ড, স্কটল্যান্ড আর ওয়েলস মিলে গ্রেট ব্রিটেন একটা দ্বীপ, ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে তাকে আলাদা করেছে মূলত ইংলিশ চ্যানেল৷ মেইনল্যাণ্ড ইউরোপের ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি সহ অন্যান্য দেশগুলো তাদের ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্প নিয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল আর আত্মাভিমানী৷ চরুয়া ইংরেজদের প্রতি এই জাতিগুলোর একধরণের তাচ্ছিল্য আছে৷

বিশ্বযুদ্ধের তিক্ত স্মৃতির কারণেই বোধহয় জার্মান আর ইতালিয়রা ইংরেজদের সাথে সহজ হতে পারেনা৷ আর ফরাসিদের আছে শিল্পের বড়াই৷ তবে আর কিছু না হোক, ইংরেজদের একটা জিনিস ইউরোপীয়রা লুফে নিয়েছে, ফুটবল! শুধু নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা প্রায় প্রত্যেকেই এই খেলায় পেছনে ফেলে দিয়েছে ইংলিশদের৷  

আজ বহুদিন পর ইংরেজদের সামনে সুযোগ হয়েছে  ইউরোপীয় ফুটবলের রাজমুকুট মাথায় পরার! প্রতিপক্ষ তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অক্ষশক্তির অন্যতম শক্তি ইতালি৷ হাফ টাইম পর্যন্ত ইংরেজরা এগিয়ে, দেখা যাক কী হয়৷
 
আমার এই ম্যাচে তেমন কোন ফেভারিট নেই, তবে কিনা, দুবার লণ্ডন গেছি, ইংরেজদের আইনে বিচার আচার করে দুটো অন্নসংস্থান হয়, নইলে, বুঝলেন বিষয়টা.......

(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

আরও পড়ুন:


শুরু হয়ে গেলো মহা ফযীলতপূর্ণ ‘আশারায়ে জিলহজ্ব’

দেশে ফিরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত মেসি, ডি মারিয়ারা

এই প্রজন্মের ইন্সপিরেশনে হবে “লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেন” সিজন টু !

news24bd.tv রিমু  

 

এই রকম আরও টপিক