রাস্তায় নামাজ পড়া নিয়ে ভারতে তোলপাড়

রাস্তায় নামাজ পড়া নিয়ে ভারতে তোলপাড়

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার বলেছেন,  নামাজ মসজিদে পড়া উচিত। এমনকি ঈদের নামাজও রাস্তায় পড়া অনুচিত। ভারতের গুরুগ্রামে প্রকাশ্য রাস্তায় নামাজ পড়া নিয়ে সম্প্রতি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হওয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

মনোহর লাল খট্টার বলেন, আইনশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণ করা রাজ্যের দায়িত্ব।

প্রকাশ্যে নামাজ পড়া দিন দিন বেড়েই চলেছে। নামাজ পড়ার জায়গা হলো মসজিদ বা ঈদগাহ। সেখানে নমাজ পড়ুক, প্রকাশ্য রাস্তায় নয়।

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ঠিক দুদিন আগেই হরিয়ানার গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ডানপন্থী সংগঠনরা শুক্রবারের নমাজ পড়ায় বিঘ্ন ঘটায়।

ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকায় বাড়াবাড়ি কোনও কিছু ঘটেনি বলে জানা গেছে। গত দুসপ্তাহ ধরে হিন্দুত্ববাদীরা শুক্রবারের নামাজ পড়ার দিনটিতে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

তাঁদের অভিযোগ, বেশ কিছু মুসলিম জমি দখলের চেষ্টা করে সেখানে মসজিদ বানানোর চেষ্টা করছে।

শুক্রবারই ওয়াজিরাবাদ, আতুল কাটারিয়া চৌক, সাইবার পার্ক, বখতাওয়ার চৌক এবং সাউথ সিটিতে নামাজ পড়া ব্যাহত হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের জন্য।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরঙ্গ দল, হিন্দু ক্রান্তি দল, গো রক্ষক দল এবং শিব সেনার সদস্যরা গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় শুক্রবারের নামাজ পড়া বানচাল করে দেন। নামাজ বন্ধ করার জন্য সেখানে গিয়ে, জয় শ্রী রাম এবং রাধে রাধে বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।

এর পাশাপাশি রবিবার মনোহর লাল খট্টার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে চিঠি দিয়ে জানান, অবিলম্বে পাকিস্তানে রবি নদীর প্রবাহ বন্ধ করা হোক।

সাংবাদিকদের খট্টার জানান যে, রবি নদীর জল পাওয়ার কথা আসলে ভারতের। এখানকার মানুষ এই নদীর জল ব্যবহার করবে। তিনি চিঠি দিয়ে বিষয়টি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।

খট্টার বলেন, রবি নদীর জল যাতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মানুষ ব্যবহার করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে। ১৯৬০ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি অনুযায়ী পূর্বদিকের সুতলেজ, বিয়াস এবং রবি নদী ভারতের এবং পশ্চিমদিকের সিন্ধু, ঝিলাম এবং ছেনাব নদী পাকিস্তানের।
 আরও পড়ুন: নামাজরত মুসল্লিদের ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘রাধে রাধে’ বলে হামলা

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর