করোনাভাইরাস মহামারি বিস্তার রোধে বিভিন্ন বিষয়ে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
লকডাউন শিথিলের এই ৮ দিনে অর্ধেক আসন নিয়ে গণপরিবহন চলাচল, সীমিত পরিসরে দোকান-শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আগামি ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
একই সাথে আগামী ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।এক নজরে দেখে নিন আগামী ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঈদ পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধে যেসব শর্ত আরোপ করা হয়েছে-
১। সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।
২।
৩। শপিংমল/মার্কেটসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
৪। সকল পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৫। সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
৬। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুনঃ
ওজন বাড়াতে হলে দুপুরে ঘুমাতে হবে
দেশে ফিরতেই মেসির উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন রোকুজ্জো! (ভিডিও)
তালেবান গোয়েন্দা প্রধানকে হত্যা করার কথা ঘোষণা আফগানিস্তানের
মাস্টারশেফ গ্রান্ড ফিনালে কিশোয়ারের পান্তা-আলুভর্তা
৭। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৮। ব্যাংকিং/বিমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৯। সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাফতরিক কাজ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।
১০। আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন/বিক্রয়, ত্রাপ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্সাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।
news24bd.tv / নকিব