কর্মস্থলে শ্রমিকের মৃত্যু থামছেনা কোনভাবেই। তাজরিন-রানা প্লাজা, পুরান ঢাকার নিমতলী-চুড়িহাট্টা, সবশেষ সেজান জুস কারখানা। কোথাও পুড়ে, কোথাও চাপা পড়ে নির্মম মৃত্যু হচ্ছে শ্রমিকের। প্রতিটি ঘটনায়ই পর্দার অন্তরালে থেকে যাচ্ছে প্রকৃত দোষীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালিকদের কম ব্যয়ে বেশি মুনাফা লাভের মানসিকতা দুর্ঘটনার অন্যতম বড় কারণ। এছাড়া দুর্ঘটনায় সরকারি সংস্থাগুলোকে দায় নিতে হবে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সাভারের তাজরিন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ১১৭ টি তাজা প্রাণ। তারপরের বছরে ধ্বসে পড়ে সাভারের আরেক বৃহৎ পোশাক কারখানা রানা প্লাজা, যেখানে প্রাণ হারায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক।
প্রতিটি দুর্ঘটনার পর কয়েকদিন চলে জোর আলোচনা, তারপর প্রেক্ষাপট পাল্টে চাপা পড়ে সেই ঘটনা। পর্দার অন্তরালেই থেকে যায় দোষীদের নাম। অথচ কারখানা চালু করতে কয়েক ধাপে অনুমোদন নেয়া হয় সরকারি কয়েকটি সংস্থার কাছ থেকে। কিভাবে দেয় তারা অনুমোদন সেই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোন কারখানার ভবন তৈরি হয় ইঞ্জিনিয়ারদের তত্ত্বাবধানে বিল্ডিং কোড অথরিটির অনুমোদন নিয়ে, এরপর বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ডাইফি, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ ১৬/১৭ টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের পরই তা বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান নামমাত্র যাচাই বাছাই করে লাইসেন্স প্রদান করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিশেষ দিনে সুরা দুখান পাঠে মাফ হবে সকল গুনাহ
যে কারণে এফডিসিতে এবার ছয়টি গরু কোরবানী দেবেন পরিমনি
ওজন বাড়াতে হলে দুপুরে ঘুমাতে হবে
দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কারখানা মালিকদের দায় বেশি বলে মনে করেন বিজিএমইর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
গেল ১১ বছরে শুধু অগ্নিকাণ্ড ঘিরে আদালতে রিট হয়েছে কমপক্ষে ৯ টি। এর মধ্যে ৬ টির রুলসহ আদেশ হলেও তিনটির শুনানি মুলতবি রয়েছে।
news24bd.tv রিমু