সভ্য দেশ হলে, সেজানের মালিকের আগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তার করা হতো

সভ্য দেশ হলে, সেজানের মালিকের আগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তার করা হতো

Other

সবাই সেজান জুসের মালিকের গ্রেপ্তার দাবি করেছিলো। মালিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন আর তাদের কিছু বলার নেই। দেখুন, এ অঞ্চলে অধিকাংশ মানুষের দৃষ্টিই ভাসা ভাসা।

গলার আওয়াজকেই তারা সবকিছুর সমাধান হিসেবে ভাবেন। এই এরাই কিন্তু ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিলো। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার পর ধর্ষণ বন্ধ হয়েছে কি না তা আপনারা সবাই জানেন।

তাজরীনের দেলওয়ারকেও কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।

কিন্তু আগুনে পুড়ে মরা কি বন্ধ হয়েছিলো? হয় নি, হওয়ার কথাও নয়। কারখানার মালিককে কোনো দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় টর্ট অব নেগলিজেন্সের আওতায়। ভিক্টিমদের প্রতি তার যদি কোনো লিগাল ডিউটি অব কেয়ার এরাইজ করে, এবং তিনি যদি তা পালন না করেন, তখন তাকে ম্যানস্লটারের দায়ে অভিযুক্ত করা যায়। মনে রাখতে হবে - ম্যানস্লটার কিন্তু মার্ডার নয়। অথচ এদেশের আমজনতা দুর্ঘটনায় মৃত্যুকেও মার্ডার মনে করে!

আরও পড়ুন


বগুড়ায় করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯২

ভারত থেকে অস্ত্র পাওয়ার খবর ভিত্তিহীন: আফগানিস্তান

‘ঈদকে ঘিরে অর্থনীতির প্রবাহ গতিশীল রাখতে সরকারের এই উদ্যোগ’

‘কালা নু’ শহর থেকে তালেবানদের বিতাড়িত করা হয়েছে: কাবুল


সেজানের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, খুব ভালো, কিন্তু শ্রমিকদের প্রতি ডিউটি অব কেয়ার কি শুধু মালিকের একার ছিলো? কোনো সভ্য দেশ হলে, সবার আগে ফায়ার সেফটি বিভাগ, বিল্ডিং কোড বিভাগ, ইনডাস্ট্রিয়াল ইনস্পেকশন বিভাগ এবং লেবার সেফটি বিভাগের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হতো। কারণ, তাদের টর্ট অব নেগলিজেন্স এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এমন কি মালিকের চেয়েও বেশি। যদিও হুজুগের আবেগে মনে হবে মালিকই আসল কালপ্রিট।

আমেরিকা হলে এতোদিনে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফেডারেল প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হতো এবং প্রশ্নবাণে তাদের জান নাকাল হয়ে যেতো। আমেরিকার এটর্নি জেনারেল কী জিনিস, তা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের খপ্পরে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝেছিলো।

news24bd.tv এসএম