কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রথম মৃত্যু, মার্কিন মদতের অভিযোগ

কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রথম মৃত্যু, মার্কিন মদতের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে প্রথম কোন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জুলাই) রাজধানী হাভানায় দিউবিস লওরেন্থিয় তেহেরা (৩৬) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এদিকে এরইমধ্যে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান এই বিক্ষোভে প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে দেশটির সরকার।

প্রতিবেদনে কিউবার সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একটি দল সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল। মৃত তেহেরা ওই দলের অংশ ছিল। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।  

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তেহেরার মৃত্যুতে তারা শোকাহত।

এছাড়া ওই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যসহ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, গত রোববার কিউবার রাজধানী হাভানায় প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা দেশটির অন্য এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। কিউবা সরকারের অভিযোগ, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মদত রয়েছে।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সরকারি স্থাপনায় হামলাকারী দলটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।   এদিকে, দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সেবাও।

এর আগে, স্থানীয় সময় রোববার (১০ জুলাই) খাদ্য সংকট ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাভানার রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ। তাদের প্রতিহত করতে আগে থেকেই অবস্থান নেয় পুলিশ ও সরকার দলের সমর্থকরা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন


দায় না নিলে দাঁড়াবে না

ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরছেন মুশফিক

সভ্য দেশ হলে, সেজানের মালিকের আগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তার করা হতো

বগুড়ায় করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯২


বিবিসি জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এবং গণতন্ত্রের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, কিউবার রাজধানী শহর হাভানা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে স্যান অ্যান্টোনিও ডে লস ব্যানোসের প্রায় ৫০ হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা 'স্বৈরতন্ত্রের পতন চাই' এবং ‘আমরা স্বাধীনতা চাই’ বলে স্লোগান দেন। এক বিক্ষোভকারী বলেন, বিদ্যুৎ এবং ওষুধ পাচ্ছি না আমরা। পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চরম অসন্তুষ্ট।

এদিকে কিউবার প্রেসিডেন্ট দিয়াজ-ক্যানেল বিক্ষোভের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত দুর্বৃত্তদের দায়ী করেছেন। তবে বিদ্যুৎ সংকট রয়েছে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, জ্বালানি পরিস্থিতি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। তবে বিক্ষোভের নামে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা হচ্ছে দাবি করে একে সহ্য করা হবে না বলে জানান তিনি।

news24bd.tv এসএম