‘শিথিল লকডাউনে’ গণপরিবহনে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

সংগৃহীত ছবি

‘শিথিল লকডাউনে’ গণপরিবহনে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কঠোর লকডাউন শিথিল করে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে সারাদেশে যানবাহন ও দোকানপাট-শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। কোনো ধরনের বিধিনিষেধ ছাড়াই চলছে যানবাহন, খুলেছে দোকানপাট-শপিংমল।

গত ২৮ জুন থেকে সীমিত এবং ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ ছিলো। যার ফলে ১৭ দিন পর আবারও সড়কে নেমেছে গণপরিবহন।

এদিকে, সড়কে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। শর্তগুলো নিচে দেওয়া হলো-

১. বাস/ মিনিবাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলতে হবে। পাশাপাশি আসনে বসা যাবে না। গণপরিবহণে আসন বিন্যাস করতে হবে আড়াআড়িভাবে।

অর্থাৎ, কোনো আসনে জানালার পাশে যাত্রী বসলে পেছনের আসনের যাত্রীকে করিডরের পাশের আসনে বসতে হবে।

২. অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হবে, তা পুষিয়ে নিতে বিদ্যমান ভাড়ার অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।

৩. গণপরিবহণের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, চালকের সহকারী ও টিকিট বিক্রির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। জীবাণুনাশক ছিটিয়ে এসব যান জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৫. গণপরিবহণে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

এর বাইরে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া অন্যান্য শর্তও সবাইকে পালন করতে বলা হয়েছে বিআরটিএ'র বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়া এই পাঁচ শর্ত মেনে রাইডশেয়ারিং সেবার যানবাহনও চলতে পারবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।


আরও পড়ুনঃ

অক্সফোর্ডের দ্বিতীয় ডোজের টিকা আগস্ট থেকে: সেব্রিনা ফ্লোরা

যে ধরণের পশু ছাড়া কোরবানি হবে না

রূপগঞ্জে সেই কারখানার সামনে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫

আজ থেকে শিথিল হচ্ছে লকডাউন, খুলছে গণপরিবহন-শপিংমল


news24bd.tv / নকিব