মানুষের আচরণ বা চরিত্র দুইরকম ভাবে প্রকাশ পায়। একটা জন্মগত কারণে। আরেকটা পরিবেশগত। জন্মগতভাবে পাওয়া যেকোনো দিকই খুব সহজে পরিবর্তন হয়না।
এক্ষেত্রে যারা জন্মগতভাবে ইতিবাচক দিক বেশি পেয়ে থাকেন তারা কোনো নেতিবাচক দিকে ঝুঁকে পড়লেও ঘুরে দাঁড়ানোটা সহজ হয়, যদি সে চায়। কিন্তু জন্মগত নেতিবাচক দিকগুলো পরিবর্তন করতে চাইলে খুব স্ট্রংলি নিজেকেই চাইতে হবে। কারণ এটা তার "বেসিক"।
তবে বেসিক যাই হোক, কেউ অপরাধী হয়ে জন্ম নেয় না। পারিপার্শ্বিকতার কারণে হয়। আর যাদের "এথিকাল বাইন্ডিংস" অর্থাৎ নীতিগত বাধা কাজ করে না তারা অপরাধ বা যেকোনো নেতিবাচক কাজে বেশি ঝুঁকে পড়ে।
অপরাধীর জন্য সব সময় আমরা শাস্তি শব্দটা ব্যবহার করি। কিন্তু সংশোধন ব্যবহার করিনা বললেই চলে। আর আমরা মানুষের বিবেক জাগ্রত করার চেয়ে শাস্তিটাকে বেশি প্রাধান্য দেই। তাই সংশোধনাগার বলেও একটা শব্দ আছে এটা আমরা মনেই আনতে পারিনা।
"ভিক্টিমোলজি এন্ড রেস্টোরেটিভ জাস্টিস" এর মতে একটা অপরাধীও কোনো না কোনোভাবে ভিক্টিম।
সেটা সেই কাজ ঘটানোর প্রবণতা শুরু হওয়া থেকে শুরু করে শাস্তি পাওয়া বা না পাওয়া পর্যন্ত।
তবে যেগুলো আইনের আওতায় অপরাধ হিসেবে দেখা হয়না, অর্থাৎ আচরণগত নেতিবাচক বিভিন্ন দিক থেকে অনেকেই অনেক ধরণের ভুল বা দোষ করে। সেটা হতে পারে কারও সামান্য ক্ষতি করতে চাওয়া, মিথ্যে বলে বা কটুক্তি করে অন্যকে ছোট করা, হিংসা, অযৌক্তিক সমালোচনা, নেগেটিভিটি ছড়ানো এরকম অনেক কিছু। এগুলো পরিবর্তন করতে চাইলে সবার প্রথমে নিজের ইচ্ছা এবং আশেপাশের কাছের মানুষগুলোর ইতিবাচক প্রভাব খুব বেশি প্রয়োজন।
মনের দুইটা দিকের মধ্যে ভালো দিকটা যে কতটা মধুর সেটা উপলব্ধি আসলে কয়জন করে বা করার সুযোগ আসলে কয়জন পায়? সামান্য ভুলেও কাউকে শাস্তি দেবার আগে তাকে সংশোধনের পথটা দেখানো প্রথমে জরুরি।