জেনে নিন করোনার সবকটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে পার্থক্য কী!

জেনে নিন করোনার সবকটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে পার্থক্য কী!

অনলাইন ডেস্ক

কোভিড-১৯, চিনে প্রথম শুরু হওয়া এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে বিশ্বে প্রতিদিনই  লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর সারি। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বহু রূপ প্রকাশ্যে এসেছে এবং প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ কিছুটা হলেও আলাদা। এই রুপ পরিবর্তন এবং লক্ষণগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের চিন্তা বেড়েছে।

ভারতে পাওয়া করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আগের ভাইরাসের চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ, যাকে সেকেন্ড ওয়েভের জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

ডেল্টার পরে এসেছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট এবং এরপর কাপ্পা, ল্যাম্বডার মতো ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে। এই সবকটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে পার্থক্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো- 

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বা B.1.617.2 হল B.1.617 ভাইরাসের একটি রূপ, যা এই বছরের শুরুর দিকে ভারতে আবিষ্কৃত হয়েছিল। গবেষণা অনুযায়ী, এটি আগের ভাইরাসের চেয়ে আরও বেশি ভয়ানক এবং দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-এর জন্য একেই দায়ী করা হচ্ছে।

এই কারণেই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ডেল্টা রূপটিকে 'virus of concern' হিসেবে অভিহিত করেছে। গবেষণা অনুসারে, এই ধরনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে বর্তমান কোভিড ভ্যাকসিনগুলি আটগুণ কম কার্যকর।  

ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট, ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট ভারতে আবিষ্কৃত ডেল্টারই আরেকটি রুপ। ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট (B.1.617.2) প্রথম ভারতের মহারাষ্ট্রে ধরা পড়েছিল। ভারত ছাড়াও ডেল্টা প্লাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের আরও ৯টি দেশ, ইউকে, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, জাপান, নেপাল, চীন এবং রাশিয়ায়। এর লক্ষণগুলি হলো - পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, খিদে না হওয়া, বমি, জয়েন্টে ব্যথা এবং শ্রবণশক্তি হ্রাস।

কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট, কাপ্পা ভ্যারিয়েন্ট, যা B.1.167.1 নামেও পরিচিত। ২০২০ সালের অক্টোবরে ভারতে এটি প্রথম পাওয়া যায়। এটি করোনা ভাইরাসের একটি ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন, কারণ এটি দুই ধরণের ভাইরাস- E484Q মিউটেশন এবং L452R মিউটেশন দ্বারা গঠিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে 'Variant of interest' হিসেবে অভিহিত করেছে।

আরও পড়ুন:


নেত্রকোনায় নতুন শনাক্ত ১০১

যারা কোরবানি করতে পারবেন

ওজন বাড়াতে হলে দুপুরে ঘুমাতে হবে

গবেষণা অনুসারে, কাপ্পা ভ্যারিয়েন্টে শরীরে উপস্থিত ন্যাচারাল অ্যান্টিবডিকে কাটিয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে এবং ভ্যাকসিন থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকেও নিজেকে রক্ষা করতে পারে। এর লক্ষণগুলো হলো - ব়্যাশ, প্রচন্ড জ্বর, সর্দি, চোখ দিয়ে জল পড়া।

ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহে ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্টকেও 'Variant of interest' হিসেবে অভিহিত করেছে। গত চার সপ্তাহে ৩০টিরও বেশি দেশ থেকে পেরু-তে উদ্ভূত এই রূপটির ঘটনা সামনে এসেছে। ল্যাম্বডা L452Q এবং F490S'র মতো ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশন থেকে গঠিত।

সূত্র:বোল্ডস্কাই 

news24bd.tv রিমু