ইন্টারনেট ডাটা প্যাকের নামে শুভঙ্করের ফাঁকি

ইন্টারনেট ডাটা প্যাকের নামে শুভঙ্করের ফাঁকি

Other

১২৯ টাকায় ১৭ জিবি ইন্টারনেট। তাও আবার মেয়াদ মাত্র ৭ দিন। এ যেন ইন্টারনেট ডেটা প্যাকের নামে শুভঙ্করের ফাঁকি। মাত্র ৭ দিনে ১৭ জিবি ইন্টারনেটের মত এমন চমকপ্রদ বহু ইন্টারনেট প্যাকেজ টেলিকম কোম্পানীগুলোর।

তবে বাস্তবে দীর্ঘ মেয়াদী ইন্টারনেটের মূল্য কমছে না যেন কিছুতেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুটো এনটিটিএন কোম্পানীর বাজার দখল করাই এর প্রধান কারণ। তবে বিটিআরসিকেও নিতে হবে মানহীন ইন্টারনেটের দায়ভার বলছে, মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য গ্রাহকের সাধ্যের মধ্যে রাখতে ২০১৭ সালে কস্ট মডেলিং কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল বিটিআরসি।

তবে সেটি আজও দেখেনি আলোর মুখ।

অথচ বিটিআরসির তথ্যই বলছে, দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৯ মিলিয়নের বেশী। যার অন্তত ১০ গুণ বেশী গ্রাহক মোবাইল ইন্টানেট ব্যবহারকারী ১০৭ মিলিয়ন। অর্থ্যাৎ দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯০ শতাংশই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।

আরও পড়ুন


বাংলা একাডেমির সাথে থাকা মানে বাংলাদেশের সাথে থাকা: নূরুল হুদা

তিশা-ফারুকীর একসাথে চলার ১১ বছর

করোনায় রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীবের মৃত্যু

খুলনায় করোনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু


টেলিকম শিল্প এখন বৈশ্বিক ব্যবসা, অথচ বিশ্ব বিচারেও এখনও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি সংগঠন বলছে, দেশে ১ জিবি ডেটা প্যাকের গড় মূল্য ৫৯ টাকা। যা পাশের দেশ ভারতে মাত্র ৭ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়াও টেলিকম অপারেটরদের যেখানে প্রয়োজন ১০০ মেগাহার্জ স্পেক্ট্রাম সেখানে বাংলাদেশে রয়েছে গড়ে মাত্র ৩৯ মেগাহার্জ। বিশ্বের ১৪০টি দেশে ইন্টারনেট স্পিডের তালিকাতেও বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬তম। এই দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না বিটিআরসি, এমনটাই বলছে মুঠোফোন গ্রাহক এসাসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের দুটি এনটিটিএন কোম্পানী বাজারা দখল করে থাকায় কমানো যাচ্ছেনা ইন্টারনেটের মূল্য।

২০০৮ সালে ১ জিবি ব্যান্ড উইথের মূল্য ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক যুগের চেষ্টায় যা এখন মাত্র ২৮৫টাকা। এছাড়াও দেশব্যাপি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মূল্য এক রেট। তবে কেন কমানো যাচ্ছে না মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য সে প্রশ্ন এখনো থেকেই যাচ্ছে।

news24bd.tv এসএম