পাহাড়ে জমে ওঠেনি পশুর হাট, নেই চাহিদা

পাহাড়ে জমে ওঠেনি পশুর হাট, নেই চাহিদা

Other

কয়দিন পর ঈদ-উল-আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। কিন্তু পাহাড়ে এখনো জমে উঠেনি পশুর হাট। তাই অনেকটা অলস

সময় পাড় করছে পশু ব্যবসায়ীরা। ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপারীরা দূর পাহাড় থেকে হরেক রকম গরু সরবরাহ করলেও
চাহিদা নেই একে বারে।

তাই গরু নিয়ে অনেকটাই বিপাকে ব্যবসায়ীরা। এমনটাই বলছিল গরু ব্যবসায়ী জলিল হাওলাদার।  

তিনি বলেন, রাঙামাটির দুর্গম উপজেলা বাঘাইছড়ি আমতলী ইউনিয়ন থেকে ১০৬টি গরু নিয়ে শহরের বাস ট্রার্মিনাল পশুর হাটে আসেন। চার দিনে মাত্র গরু বিক্রি করেছেন ৫৪টি।

তাও আবার কম লাভ। চাহিদা নাথাকায় এক লাখ থেকে ৮০হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন সব কয়টি গরু। একই অবস্থা অপর আর এক ব্যবসায়ী বাচ্চু তালুকদারের।

তিনিও জানান, এবার গরুর দাম একে বাড়ে মিলছে না। অনেক কষ্টে গরুগুলো সরবরাহ করা হলেও ক্রেতা সংকটে আছি। পুরো বাজার জুড়ে মাত্র ২লাখ টাকার দাম পর্যন্ত গরু আছে। আগে এক থেকে ১০লাখ টাকার গরু পর্যন্ত মিলতো এ বাজারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১২জুলাই থেকে রাঙামাটিতে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। পাহাড়ের প্রত্যন্ত এলাকার রঙ বে রঙের গরু সরবরাহ করা হয় এসব হাটে। সাধারণত এসব গরু বন-জঙ্গলে লতাপাতা খেয়ে বড় হয়ে উঠে। তাই গরুর স্বাস্থ্য ধরে রাখতে কোন রকম কৃত্রিম ওষুধও প্রয়োগ করতে হয় না বলে দাবি গরুর খামারিদের। দেখতেও বেশ মোটা তাজা। তাই ক্রেতাদের আকর্ষণ থাকে বেশি। তবে এবার ভিন্ন চিত্র। করোনার জন্য পশুর হাটে একে বারে ক্রেতা শূণ্য।

রাঙামাটির স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা জানান, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই, বরকল, লংগদু, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর ও বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে প্রতিদিন আনা হচ্ছে শত শত পাহাড়ি গরু। তাই বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা গরু সংগ্রহ করছেন রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে।

তবে স্থানীয় বাজারের গরুর চাহিদা না থাকায় বেশি লাভের আশায় গরু রপ্তানি করা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামে। সমতলে
এসব গরুর চাহিদাও বেশ।

অন্যদিকে কোরবানীর ঈদকে ঘিরে পশুর হাটে করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের নজড়দাড়ি বাড়ানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কড়া নিদের্শনা দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান।

একই ভাবে ইজারাদারদের নিদের্শনা দিয়েছে রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধূরী।

তিনি বলেন, রাঙামাটি পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে শহরে পশুহাট বসানো হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে নিজেদের
সুবিধামতো এ হাটে পশু কেনাবেচা করতে পারছে। এখানে দালালদের কোনো রকম উৎপাতের সুযোগ নেয়। এসব
হাটে সরাসরি ক্রেতা ও বিক্রেতারা পশু কেনাবেচা করতে পারছে। এ ছাড়া কোরবানি দেওয়ার জন্য পৌরসভা থেকে
বিভিন্ন এলাকায় স্থান নিধারন করে দেওয়া হয়েছে। যাতে পৌর এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ বজায় থাকে।

news24bd.tv / তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর