টিকা দিতে না পারলে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন : জেএম কাদের

টিকা দিতে না পারলে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন : জেএম কাদের

অনলাইন ডেস্ক

বৈশ্বিক মহামারি করোনা কোন ছোট বিষয় নয়, সারা পৃথিবী ঐক্যবদ্ধ ভাবে করোনা মোকাবেলা করছে। বাংলাদেশেও সম্মিলিত ভাবে করোনা মোকাবেলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের ।

তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, সকল রাজনৈতিক দল, সকল এনজিও এবং পেশাজীবিদের নিয়ে করোনা মোকাবেলা করুন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সরকারকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা মোকাবেলায় আমরা সরকারের যে কোন কর্মকান্ড সফল করতে আগ্রহী।

আজ বিকেলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল মিলনায়তনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় যুব সংহতি আয়োজিত স্মরণ সভা ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় যুব সংহতি আহবায়ক এইচএম শাহরিয়ার আসিফ এর সভাপতিত্বে এবং জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, পৃথিবীর প্রায় সকল রাষ্ট্র দেশের মানুষকে টিকা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। কিন্তু আমাদের দেশের টিকা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেনা। যেখানে ২৭ থেকে ২৮ কোটি ডোজ টিকা দরকার, সেখানে রেডিও টিভিতে সরকার ঘোষণা করছে ৫ লাখ ডোজ, ১০ লাখ ডোজ টিকা আসছে।

বাকি টিকা কখন, কোথা থেকে আসবে তা কেউ জানেনা। এটা অত্যান্ত হতাশাজনক।

এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ভ্যাকসিন হচ্ছে করোনা মোকাবেলার প্রধান অস্ত্র। সবাইকে যত দিন টিকা দেয়া না দেয়া যাবে, ততদিন সরকারি ভাবে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আবার লকডাউন দিলে কর্মহীন মানুষের পরিবার প্রতি মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। তিনি বলেন, কারো ঘরে খাবার না থাকলে সে কখনোই লকডাউন মানবেনা। যার ঘরে ক্ষুধার জ¦ালায় শিশু কাঁদবে সে বাইরে বের হবেই। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় দেশের বাজেট তৈরী হয়। ঐ টাকার মালিক দেশের সাধারণ মানুষ। করোনাকালে দেশের মানুষ কষ্টে আছে, তাদের বাঁচাতে হবে। তাই অন্তত ২ কোটি পারবারকে মাসে ১০ হাজার টাকা দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। রাজনৈতিক বিবেচনা না করে প্রকৃত দরিদ্র পরিবারের মাঝে জরুরি ভিত্তিতে অর্থ সহায়তা দিতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতাল তৈরী করেছেন। আমরা এক বছরের বেশি আগেই বলেছি, প্রতিটি হাসপাতালে মঞ্জুরীকৃত ডাক্তার, নার্স এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে হবে, দেয়া হয়নি। প্রতিটি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে বলেছি, কিন্তু সকল হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এর ব্যবস্থা করা হয়নি। অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগী মারা যাচ্ছে। যাদের টাকা আছে তারা রাজধানীতে এসে বেসরকারি হাসপাতালে চিৎিসা নিচ্ছে। আর যাদের টাকা নেই, তারা বিনা চিকিৎসায় গ্রামে-গঞ্জে মারা যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষেরা করোনা টেষ্ট করতে পারছেনা, বিনাচিকিৎসায় মারা যাচ্ছে- সরাকারি হিসাবে তাদের সংখ্যা আসছেনা। আইসিইউ থেকে বের করলেই মারা যাবেন মা, কিন্তু তা জেনেও টাকার অভাবে সন্তানরা করোনা আক্রান্ত মুমুর্ষ মাকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বের করছেন। এমন হৃদয়বিদারক অসংখ্য ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।   


রংপুরে ১৫শ দরিদ্র মানুষ পেল বসুন্ধরার মানবিক সহায়তা

দেশে কাক-কোকিল চেনা বড় দুষ্কর: নানক

হবিগঞ্জে বজ্রপাতে গেল দুই প্রাণ


 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মো: রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো: জহিরুল আলম রুবেল, হারুন আর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম-আহ্বায়ক তারেক এ আদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, জিয়াউর রহমান বিপুল, এড. মাঈন উদ্দিন মাইনু।

উপস্থিত ছিলেন, ১নং যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, শারমিন পারভীন লিজা, যুগ্ম-দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, মো: দ্বীন ইসলাম শেখ, কেন্দ্রীয় সদস্য- মিনি খান, সীমানা আমির, ওমর আলী খান মান্নাফ, সুজন, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ছাত্রনেতা- রুহুল আমিন গাজী বিপ্লব, ফকির আল মামুন প্রমুখ।

news24bd.tv/আলী