হত্যার পর স্ত্রীর থানায় স্বামী নিখোঁজের মামলা!

হত্যার পর স্ত্রীর থানায় স্বামী নিখোঁজের মামলা!

অনলাইন ডেস্ক

স্বামী আরাফাত মোল্লাকে প্রথমে হত্যা করে স্ত্রী আকলিমা আক্তার। হত্যার পর সেই লাশ আবার  রান্না ঘরের মাটির নিচে পুতে রাখে স্ত্রী। এরপর থানায় হাজির হয়ে স্বামী নিখোঁজের অভিযোগে মামলাও করেন স্ত্রী! কিন্তু পুলিশের গোপন তদন্তে ২ মাস ১৪ দিন পর উদ্ধার হয় নিখোঁজ আরাফাত মোল্লার লাশ।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব শীলমন্দি এলাকা থেকে শুক্রবার (১৬ জুলাই) আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ।

এই ঘটনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেহভাজন আকলিমা আক্তার ও রিয়াজ নামে আরেক জনকে।

আরাফাত পূর্ব শীলমন্দি এলাকার দুখাই মোল্লার ছেলে। ২২ বছর আগে আকলিমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এই দম্পতির চার সন্তান।

বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট এক মেয়ে ও দুই ছেলে বাড়িতেই থাকে। এদের মধ্যে দুইজন শিশু ও একজন কিশোর।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১৫ মে আরাফাতের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানিয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আকলিমা। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২ মে আরাফাত আর বাড়ি ফেরেননি।

নিখোঁজের ১৫ দিন পর আকলিমা ফের থানায় আরেকটি অভিযোগ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় মোবাইল নম্বর থেকে তার স্বামীর মেজো ভাইয়ের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে।

তবে আরাফাতের কল লিস্ট ঘেঁটে পুলিশ দেখতে পায় নিখোঁজের (জিডি অনুসারে) দিন আরাফাতের ফোন বাসাতেই ছিল। তখন পুলিশ আকলিমাকে সন্দেহ করে। তাকে ফাঁদে ফেলতে একজনকে কাজে লাগায়। ওই ব্যক্তি আকলিমারই প্রতিবেশী।

তদন্তের একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে আকলিমার সঙ্গে ওই ব্যক্তির কথোপকথনের একটি ভিডিও রেকর্ড পুলিশের হাতে আসে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আরাফাতকে হত্যা করে রান্নাঘরে পুঁতে রাখার বিষয়টি বলছেন আকলিমা।


স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাভোগ করতে হবে

২২ দিন পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু

নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ


 

আকলিমাকে আটক করে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, তার স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এ কারণে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে হত্যা করে রান্নাঘরে পুঁতে রেখেছেন।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আকলিমাই তার স্বামীকে হত্যা করেছেন। এ জন্য আকলিমা ও রিয়াজ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

news24bd.tv/আলী