ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে পশ্চিম ইউরোপের বন্যা পরিস্থিতি। মৃতের সংখ্যা ১২০ ছাড়িয়ে গেছে। যার মধ্যে শুধু জার্মানিতেই মারা গেছে ১০৩ জন। নিখোঁজ রয়েছে প্রায় এক হাজার তিনশো মানুষ।
এদিকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে চাদেঁর গতিবিধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র বন্যা ঘটতে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে নাসা।পশ্চিম ইউরোপে ব্যাপকভাবে সৃষ্ট বন্যায় অনেক স্থানেই ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। জার্মানি ও বেলজিয়ামের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হলেও নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডেও বন্যায় ডুবে গেছে বহু অঞ্চল। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কতৃপক্ষ।
এছাড়া ভূমিধ্বসের ফলে কাদার নিচে চাপা পড়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতে চলছে উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ সহায়তা।
ভূমিধ্বস ও বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গেলো এক দশকে এমন ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি ইউরোপে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাওয়ায় জলবায়ুতে ভয়াবহ বিরুপ প্রভাব পড়েছে। আর এতে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন আবহাওয়া ও পরিবেশগত বিপর্যয়।
আরও পড়ুন:
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কী কারণে জ্ঞান হারিয়েছিলেন কারিনা!
পাটুরিয়ায় দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তিতে সাধারণ যাত্রীরা
আজ থেকে শুরু পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
এমন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ দুঃসংবাদ জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আগামী ২০৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড বন্যা হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। আর সেটা ঘটবে চাঁদের অবস্থানের কারণে।
ইউরোপের একদিকে বন্যায় তীব্র সংকটের মাঝে আরেক পাশে গ্রীসে ব্যাপক দাবদাহ বইছে। শুক্রবার এথেন্স ও এর আশপাশের এলাকায় ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
news24bd.tv রিমু