যুক্তরাজ্যে প্রায় এক লাখ কভিড রোগীর ওপর ট্রায়াল চালিয়ে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করা একটি নজরকাড়া গবেষণা সুখবর দিয়েছে যে ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া থাকলে কভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। শুধু তা-ই নয়, কভিডের পর নানা ধরনের জটিল হৃদরোগ, স্ট্রোক, সেপসিস ও ডিভিটি হওয়ার যে প্রবণতা রোগীদের মধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া থাকলে সেসব রোগের আশঙ্কাও কমে যায় অনেকটাই।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার ফল সম্প্রতি ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’-এর অনলাইন সম্মেলনে পেশ করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়ে দেখা গেছে, আগে ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নেওয়া থাকলে কভিড রোগীদের সংক্রমণ ভয়াবহ হয়ে উঠছে না।
গবেষণাপত্রটি জানিয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা মানবশরীরের প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে পারছে বলেই অ্যান্টিবডিগুলো তখন সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পারছে। গবেষকরা এ-ও দেখেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা আগে না নেওয়া থাকলে কভিডে আক্রান্ত হওয়া বা তার থেকে সেরে ওঠার পর রোগীদের শারীরিক অবস্থা যা হয়, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা আগে নেওয়া থাকলে তার চেয়ে অনেক বেশি সুস্থ থাকে কভিড রোগীরা। সেরে ওঠার পরেও তাদের নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়েছে।
আরও পড়ুন
৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার
গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা
আজ আসছে ১০ লাখ ডোজ, কাল আরও ১০
মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক দেবিন্দার সিংহ বলেছেন, ‘আমরা যা দেখেছি, তা থেকে এটুকু অন্তত নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা কভিডের ভয়াবহ হয়ে ওঠা রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারছে। ’ গবেষকরা অবশ্য এ-ও জানিয়েছেন, কভিড থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য কভিড টিকাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।
সূত্র : আনন্দবাজার।
news24bd.tv/এমিজান্নাত