দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এই ঈদে আমরা অনেকেই পশু কোরবানী করি। আর যারা পশু কোরবানী করেন তাদের জন্য বাড়তি একটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় এর চামড়া নিয়ে।
এসব চামড়া বিনিময় বা বিক্রি করা শুদ্ধ নয়।
হজরত আলী (রা.) থেকে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাকে তার কোরবানির পশু জবাই করার জন্য, পশুর গোশত, চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি সদকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এসবের কোনো কিছু কসাইকে দেওয়ার জন্য নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭১৭; মুসলিম, হাদিস : ১৩১৭)
পশুর চামড়া কী করবেন? : চামড়ার মূল্যে বা বিনিময়ে কোনো উপকৃত হওয়া যাবে না। এটা স্পষ্ট যে, যিনি কোরবানি করবেন, তিনি পশুর চামড়ার বা গোশত বিক্রির মাধ্যমে এর মূল্য নিজে নিতে পারবেন না এবং চামড়া বা গোশত দিয়ে কসাইয়ের পারিশ্রমিকও শোধ করতে পারবেন না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১)
শরিয়ত মোতাবেক, কোরবানি দেয়া পশুর চামড়া দান করা হচ্ছে উত্তম। তবে কোনো কোরবানিদাতা চামড়া ব্যবহার করতে চাইলে তা পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো নিষেধ নেই। যদি দান বা বিক্রি করে তাহলে গরিব, এতিম ও অসহায়দের দিতে হবে। কোরবানি দাতা নিজে চামড়া বিক্রি করার অর্থ খরচ করতে পারবেন না। (ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৫৪)
পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ সদকা করা : কেউ পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার না করে যদি বিক্রি করে তাহলে বিক্রির পুরো অর্থ সদকা করা জরুরি। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১)
আরও পড়ুন:
পাটুরিয়ায় দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তিতে সাধারণ যাত্রীরা
২৩ জুলাই থেকে কঠিন লকডাউন নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
দক্ষিণ আফ্রিকায় সহিংসতা ও লুটপাট পূর্বপরিকল্পিত: প্রেসিডেন্ট
কোরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করলে সেই অর্থ অবশ্যই সদকা করার নিয়তে বিক্রি করতে হবে। সদকা করার নিয়ত না করে যদি কেউ নিজের খরচের নিয়ত করে তাহলে তা গুনাহ ও নাজায়েজ হবে। চামড়ার পুরো মূল্য সদকা করাই জরুরি। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১; কাজিখান : ৩/৩৫৪)
news24bd.tv নাজিম