তালা ভেঙে রাহমানিয়া মাদ্রাসায় জেলা প্রশাসন

তালা ভেঙে রাহমানিয়া মাদ্রাসায় জেলা প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার চাবি বুঝিয়ে না দেওয়ায় তালা ভেঙে অবৈধ দখল মুক্ত করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের উপস্থিতে জেলা প্রশাসক মাদ্রাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে এ অভিযানের ছবি তুলতে বাধা দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।

জানা গেছে, আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে মাদ্রাসাটির মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক উপস্থিত শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে মাদ্রাসার মূলফটকে তালা দিয়ে বেরিয়ে যান।

পরে মাদ্রাসার চাবি সরকার স্বীকৃত ইসলামি শিক্ষা বোর্ড আল হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসানের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে সকাল সাড়ে ১১টার পর্যন্ত চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। পরে মাদ্রাসাটি ‘অবৈধ দখল মুক্ত’ করতে যায় ঢাকা জেলা প্রশাসন।  

সূত্র জানায়, উচ্ছেদ অভিযানের খবর পেয়ে আগেই মাদ্রাসা ছাড়েন মাওলানা মাহফুজুল হক।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসার আগে না সরলে তাদের মুখোমুখি হতে হতো মাওলানা মাহফুজুল হককে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তিনি আগেই মাদ্রাসা ছাড়েন।  

একই সঙ্গে আগেভাগে বেরিয়ে গিয়ে নিজেদের ‘ভিকটিম’ হিসেবে উপস্থাপন করারও কৌশল নিয়েছেন বলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

আরও পড়ুনঃ


দ. কোরিয়ার কোন গালিও দেয়া চলবে না উত্তর কোরিয়ায়

তালেবানের হাত থেকে ২৪ জেলা পুনরুদ্ধারের দাবি

কাছাকাছি আসা ঠেকাতে টোকিও অলিম্পিকে বিশেষ ব্যবস্থা

গাবতলী হাটকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, এক ঘণ্টা হাসিল বন্ধ 


এদিকে ওয়াকফ সোমবার দুপুর আড়াটায় সংবাদ সম্মেলন ঢেকেছে ওয়াকফ অ্যাস্টেট অনুমোদিত জামি’আ রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদ্রাসা বুঝে পাওয়ার পর সার্বিক বিষয়ে কথা বলবেন তারা।  

প্রসঙ্গত, মোহাম্মদপুরের জামি’আ রাহমানিয়া আরাবিয়া শীর্ষস্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসা। ১৯৮৮ সালে ওয়াকফ সম্পত্তিতে গড়ে ওঠা এই মাদ্রাসাটি ২০০১ সালে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় আল্লামা আজিজুল হকের পরিবার।   তার ছেলে মাহফুজুল হক ও মামুনুল হকরা পরে হেফাজতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।  

ওয়াকফ প্রশাসনে নিবন্ধিত মাদ্রাসাটি থেকে ওই সময়ের ৩৬ জন শিক্ষককে বের করে দেওয়া হয়। সেই সময় থেকে মাদ্রাসাটির পরিচালনার দায়িত্ব ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যায় ওয়াকফ অ্যাস্টেট পরিচালনা কমিটি। আদালতের রায়, ওয়াকফ প্রশাসনের পক্ষে আদেশ থাকার পরও এতদিন মাহফুজুল হক ও মামুনুল হকরা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সম্প্রতি হেফাজেতের তাণ্ডব ও মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ডের পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। সর্বশেষ ১৮ মে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন জামি’আ রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মাদ্রাসা ওয়াকফ অ্যাস্টেট পরিচালনার জন্য ২১ সদস্যের একটি পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দেয়। তিন বছরের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।   সেই কমিটির সভাপতি আব্দুর রহীম।   

কমিটির সহ-সভাপতি হারুনুর রশীদ, আলীমুজ্জামান, সম্পাদক কাজী সাহিদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক হাফিজ আব্দুল গাফফার, রঈস মাওলানা হিফজুর রহমান, শাইখ মুফতি মনসুরুল হক। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন ক্বারী মুজাফ্ফর হুসাইন, ডা. আব্দুল কাইউম, মুজাম্মেল হুসাইন, আকরাম হুসাইন, উমর ফারুক মিল্কী, মুনীর সাঈদ, আলী হুসাইন, ডা. আহসানুল্লাহ, ডা. ইখলাসুর রহমান, আব্দুল হালীম, আব্দুর রব, হিফজুল বারী।

২৯ জুন বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন জামি’আ রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মাদ্রাসা ওয়াকফ অ্যাস্টেট’র সম্পত্তি অনুমোদিত কমিটির কাছে বুঝিয়ে দিতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়।   

news24bd.tv নাজিম