না ফেরার দেশে বাংলাদেশের বন্ধু, সাংবাদিক সায়মন ড্রিং

না ফেরার দেশে বাংলাদেশের বন্ধু, সাংবাদিক সায়মন ড্রিং

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের পরম বন্ধু ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং আর নেই। তলপেটে সার্জারি চলাকালে গত শুক্রবার লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ড্রিংয়ের বন্ধু সাংবাদিক তুষার আবদুল্লাহ আজ মঙ্গলবার তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর নিধনযজ্ঞের খবর যিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বের কাছে।


গত শুক্রবার রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যু হয় বলে তার আত্মীয় ক্রিস বার্লাস গণমাধ্যমকে জানান।  

রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও  বিবিসির হয়ে সাইমন ড্রিং দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় এই ব্রিটিশ সাংবাদিককে ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।

১৯৪৫ সালের ১১ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফোকে জন্ম নেওয়া সায়মন ড্রিং সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন একাধিকবার।

তার স্ত্রী ফিয়োনা ম্যাকফারসন একজন আইনজীবী এবং রোমানিয়াভিত্তিক একটি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক। ইভা ও ইনডিয়া তাদের যমজ মেয়ে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তানিয়া নামে আরও একটি মেয়ে রেখে গেছেন সায়মন ড্রিং।


আরও পড়ুন

যেভাবে উদ্ধার হলো পরিকল্পনামন্ত্রীর আইফোন

কোরবানির পশু জবাইয়ের নিয়ম ও দোয়া

বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট

সুনামগঞ্জে স্পিডবোট-বাল্কহেড সংঘর্ষে মা-মেয়ে নিহত


তার কাজিন ক্রিস বার্লাস জানান, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে সায়মনের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। গত  কিছুদিন ধরে তিনি হার্নিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন, সে কারণেই রোমানিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সেখানে অস্ত্রোপচারের সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে ডাক্তাররা তাকে আর বাঁচাতে পারেননি।

সাইমন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল আমাদের প্রকৃত সহযোদ্ধার।

news24bd.tv/এমিজান্নাত