ঈদের সাজ-পোশাক

ঈদের সাজ-পোশাক

অনলাইন ডেস্ক

অনেকেই নতুন পোশাক কিনে ফেলেছে ঈদের জন্য। আর এই দিন কোন বেলায় কোন পোশাকটি পরা সেটা নিয়ে চলে বিস্তর পরিকল্পনা। অনেকেই সকালে ফ্রেশ হয়ে একটা হালকা পোশাক পরে ফেলেন আর দুপুর এবং রাতের জন্য থাকে পছন্দের  আলাদা পোশাক। সেই সাথে পোশাকের এর সঙ্গে মিলিয়ে সাজটা কেমন হবে, তা নিয়েও চলে জল্পনা কল্পনা।

আর ঈদের তিনবেলায় তিন রকম সাজে হয়ে উঠুন অনন্যা।

সকালের সাজ:

এবার গরম এবং বৃষ্টি এরকম আবহাওয়ার দিকটা খেয়াল রেখে সকালের সাজটা হতে হবে আরামদায়ক, স্নিগ্ধ আর সতেজ। ঈদের দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেয়েরা একটু বেশিই ব্যস্ত থাকে রান্নাবান্না এবং অতিথি অাপ্যায়ন নিয়ে। তাই সকালের দিকে পোশাকটা হতে হবে খুব আরামদায়ক।

সেই ক্ষেত্রে সুতির সালোয়ার কামিজ বা কুর্তি পরতে পারেন। অনেকেই সকালে শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। তাই চাইলে পাতলা শাড়ি পরে ফেললেন। আর সকালের সাজটা হবে খুবই হালকা। বেস মেকআপে শুধু কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে তার ওপর ফেস পাউডার লাগিয়ে নিন। কাজল না দিয়ে চিকন করে ওয়াটার প্রুফ আইলাইনার লাগাতে পারেন যেন দুপুর বা বিকেলের সাজে চোখের নিচে কালো ভাবটা না থাকে। সাথে একটু ভারি করে মাশকারা লাগান। গালে দিন হালকা গোলাপি ব্লাশন। ঠোঁটে হালকা করে লাগিয়ে নিন মিষ্টি গোলাপি, বাদামি, কফি বা ন্যাচারাল রঙের লিপস্টিক। কপালে পরতে পারেন ছোট্ট একটি টিপ। যেহেতু গরম তাই চুলের সাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সকালে চুলটা ছেড়ে না রেখে খোঁপা বা বেণি করে বেঁধে ফেললে আরামদায়ক হবে। কেউ চাইলে একটা বেলী ফুলের মালাও গুজে দিতে পারেন। সকালের হালকা সাজের সঙ্গে ভালো লাগবে পার্ল, পুঁতি কিংবা স্টোনের ছোট গহনা। সব মিলিয়ে আপনাকে লাগবে পবিত্র, স্নিগ্ধ, ও সতেজ।

দুপুরের আমেজ:

ঈদের দুপুরের সাজে আপনি হয়ে উঠতে পারেন অনন্য। এই সময় পোশাকটি পরুন সুতি বা ভয়েলের লং কামিজ বা কুর্তি, শর্ট কুর্তি, শর্ট হাতা কামিজ বা কুর্তি, ফতুয়া এগুলো। রং হিসেবে বেছে নিন অফ হোয়াইট, বিস্কিট, হালকা গোলাপি, আকাশী, লেমন, হালকা নীল, বাঙ্গী, হালকা বাসন্তী এরকম হালকা যেকোনো রং। আমরা গরমে আরামের দিকটা মাথায় রেখে এই পোশাকগুলো রেখেছি বিভিন্ন কাটিং ও প্যাটার্নে। তবে হালকা কাজের অ্যামব্র‍্যয়ডারি, সুতার কাজ, ব্লক প্রিন্ট এরকম নকশা ও ডিজাইন করা পোশাকও পড়তে পারেন দুপুরে।   এতে পোশাক যেমন আরামদায়ক হবে তেমনি নতুনত্বও বজায় থাকবে। কেউ চাইলে লিনেনও পরতে পারেন। তবে অবশ্যই একটু ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নিন যেন সেটা পরে এবং চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয়। আর মেকঅাপের ক্ষেত্রে বেসটা সকালের মত হলেই সতেজ লাগবে দেখতে।

রাতে জমকালো:

রাতের সাজটা একটু জমকালো করেই সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেন। এবারও ঈদটা প্রচন্ড গরমে পরে গেছে। ঈদ-উল-আজহায় সবাই বেরই হয় বিকেল বা সন্ধ্যায়। সেটা হতে পারে ঘুরতে বা কোনো দাওয়াতে। সেই ক্ষেত্রে সাজপোশাকটা একটু জমকালো হলে ভালো লাগে। তখন একটু গর্জিয়াস পোশাকটাই পরবে সবাই। এর মধ্যে গাউন, লং কুর্তি, বাহারি ডিজাইনের শাড়ি পরতে পারেন। এই পোশাকগুলোতে একটু গাঢ় রং ব্যবহার করা হয় যেটা পার্টি বা দাওয়াতে অনায়াসে মানিয়ে যাবে। এগুলো সুতি না হয়ে মসলিন, সিল্ক এবং জর্জেট হলে বেশ উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত লাগে। সকাল বা দুপুরে হালকা সাজপোশাকে থাকলেও বিকেলেই সবাই ঈদের জন্য কেনা মূল ড্রেসটি পরে বের হয়। সেই সাথে সাজটাও দিতে হয় পোশাকের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই।

পোশাকে যেমনই হোক তার সাথে সাজ ও জুয়েলারির একটা সামঞ্জস্য থাকলে যেকোনো উৎসবে সবার নজর কাড়া যায়। পোশাকটা খুব বেশি গর্জিয়াস হলে সাজটা খুব বেশি ভারী না হলেই ভালো লাগবে। আর যদি পোশাকটা একটু হালকা কাজের মধ্যে হয় তখন মেকঅাপটা হতে পারে একটু ভারী। রাতের সাজে চুলটা ইচ্ছেমত ছেড়ে রাখতে বা বেঁধে ফেলতে পারেন। পোশাকের পাশাপাশি খেয়াল রাখুন কখন কোন মেকঅাপ মানাবে, কোন পোশাকের সাথে কোন গহনা পরবেন এবং সেই সাথে চুলের সাজটাও যেন হয় পোশাক এবং মুখের আদলের সাথে মানানসই।

news24bd.tv/এমিজান্নাত

এই রকম আরও টপিক