কঠোরতম লকডাউনে খুলনার সড়কে যানবাহন, বাজারে ভিড়!

কঠোরতম লকডাউনে খুলনার সড়কে যানবাহন, বাজারে ভিড়!

Other

করোনাভাইরাস রোধে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হলেও খুলনায় এর প্রভাব পড়েনি। শুক্রবার বৃষ্টি ভেজা সকালে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, ইজিবাইক, রিক্সাভ্যান চলাচল করছে। ভোরে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দূরপাল্লার যানবাহন সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ঢুকেছে। তবে এখনও দূরপাল্লার বাস খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি।

 

এদিকে খুলনায় বাজার কেন্দ্রিক ভিড় বেড়েছে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর গল্লামারীতে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার ও মাংসের দোকানে ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। এখানে ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক ব্যবহার বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। সড়কে পুলিশী চেকপাস্ট বা টহল চোখে পড়েনি।

রূপসা ও জেলখানা ঘাটে যাত্রীদের নদী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।  
জানা যায়, করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে খুলনায় গত ২২ জুন থেকে লকডাউন শুরু হয়। এর আগে আরও দুই সপ্তাহের স্বাস্থ্যবিধি দেওয়া হয়। তবে গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়। এই বিধিনিষেধে সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী-বিজিবি-পুলিশ-র‍্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, গত ১০ দিনে খুলনার হাসপাতালগুলোতে করোনায় ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৪৪ জনের। মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৯৫৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬৫ জন। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার ভিত্তিতে খুলনা জেলায় সংক্রমনের হার ২২-২৭ শতাংশ।  
সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ঈদে ঘরমুখি মানুষের নিয়ন্ত্রণহীন যাতায়াত ও মার্কেট- পশুরহাট ঘিরে কোভিডের সংক্রমণ আবারও বেড়ে যেতে পারে। এজন্য লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি হওয়া প্রয়োজন।  
এদিকে জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিধি নিষেধে খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজারের দোকান প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। হোটেল-রেস্তোরাগুলো সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শুধুমাত্র পার্সেল আকারে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সবধরণের পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।  


আরও পড়ুন:

তিন শতাধিক পদে ডাক বিভাগে নিয়োগ

রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়া চামড়াগুলোতে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রে বিরল 'মানকি পক্সে'র আতঙ্ক

মুনিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে সায়েম সোবহান আনভীরের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি পুলিশ


করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার গণবিজ্ঞপ্তিতে বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

news24bd.tv/ নকিব