মানহানি মামলা লইয়া দেশে এক প্রকার নৈরাজ্য চলিতেছে
মানহানি বিষয়ক মামলায় নৈরাজ্য এবং কতিপয় আইনগত বিশ্লেষণঃ প্রসঙ্গ অভিনেতা-অভিনেত্রী বা লেখক-প্রকাশকদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
মানহানি মামলা লইয়া আমাদের দেশে এক প্রকার নৈরাজ্য (anarchy) চলিতেছে। কখনো কখনো এমন সকল বিষয় লইয়া মামলা হইতেছে যাহার উপর আদৌ কোন মামলা হইতে বা চলিতে পারে না; আবার কখনো এমন সকল ব্যক্তি দ্বারা মামলা দায়ের হইতেছে যাহাদের সহিত মামলার বিষয়বস্তুর দূরবর্তী কোন সম্পর্ক নাই।
অভিজ্ঞতা বলিতেছে, বেশিরভাগ মানহানির মামলায় আসামীকে বাদী কিংবা বাদীকে আসামী আদৌ চিনে না বা জানে না। আসামী হয়ত বড় কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেইখানে বাদী হয়ত ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক পদ প্রত্যাশী অতি উৎসাহী নেতা বা কর্মী।
আবার এমনো ঘটনা দেখা গিয়াছে যে, আসামী কোন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র বা নাট্য ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, লেখক বা প্রকাশক যেইখানে বাদী হয়ত কোন উঠতি বয়সী পেশাজীবি।যেইখানে আসামী বাদীকে চিনেই না বা তাহাদের মধ্যাকার কোন পূর্ব শত্রুতা নাই সেইখানে অপরিচিত ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত মানিহানি মামলা দায়েরের মাহাত্ম্য কি? লুকোচুরি না করিয়া সোজা সাপটা ভাষায় বলিতে গেলে এর পেছনে দুইটি কারণ থাকিতে পারেঃ এক, প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করিয়া মিডিয়া ফোকাস পাইয়া নিজেকে জাহির করিবার মানসিকতা; এবং দুই, উক্ত মানহানি মামলার প্রকৃতির বিষয়ে সম্যক জ্ঞান না থাকা।
মানহানির মামলা এমন ব্যক্তি কর্তৃক দায়ের হওয়া উচিৎ যিনি বা যাহারা আসামীর কথন-বচন বা প্রকাশিত চিহ্নের দ্বারা পারিবারিক-সামাজিক বা অন্যভাবে সম্মানহানির শিকার হইয়াছেন। কিন্তু নাটক বা সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালক-প্রযোজক বা কোন পুস্তক বা পত্রিকার লেখক বা প্রকাশকের বিরুদ্ধে অনেকক্ষেত্রে মানহানির মামলা হইয়া থাকে।
বর্ণিত মানহানি মামলা লইয়া আমাদের দেশে নৈরাজ্য চলিতেছে তাহার স্বরুপ তুলিয়া ধরিবার মানসে মোটা দাগে আমি দুইটি প্রশ্নকে অবর্তন করিয়া বর্তমান এই লেখাটি সম্পন্ন করিবার প্রয়াস করিবোঃ
প্রথম প্রশ্নঃ আগন্তুক বাদীদের কি আদৌ উক্তরুপ মামলা দায়েরের অধিকার রহিয়াছে কিনা?
পূর্বেই বলিয়াছি, মানহানি মামলা দায়ের করিতে হয় সেই ব্যক্তি দ্বারা আসামীর কথন-লিখন বা বচনে প্রকৃত অর্থেই যাহার সম্মানহানি ঘটিয়াছে। সুতরাং, প্রাথমিক সূত্র এই যে, সরাসরি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি দ্বারাই মানহানির মামলা দায়ের করিতে হইবে। তবে, এই নিয়মের কিছু ব্যক্তিক্রমও রহিয়াছে। যেমনঃ মানহানিকর উক্তি যদি মৃত ব্যক্তির নামে করা হয় যাহার দ্বারা ঐ মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকের সম্মানহানি ঘটিয়া থাকে, এমতবস্থায়, উক্ত মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা মামলা দায়ের করিতে পারিবে। আবার ধরা যাক, কোন কোম্পানি বা বিশেষ শ্রেণীর ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে (যেমনঃ ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবি বা এরুপ ক্লাস অব পিপল) মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করা হইলে উক্ত collection of persons এর পক্ষে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হইয়া মানহানির মামলা দায়ের করিতে পারিবে।
প্রশ্ন থাকিয়া যায়, কোন নাটক -সিনেমা বা পুস্তকে যদি আইনজীবি-ডাক্তার বা সমাজের বিশেষ কোন পেশাজীবীদের লইয়া গড়-পড়তায় কোন বিরুপ মন্তব্য করা হয় তাহা হইলে collection of persons এর সূত্র ধরিয়া দেশের যে কোন প্রান্তের কোন আগন্তুক ডাক্তার বা আইনজীবি কি উক্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী-লেখক-প্রকাশকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আনয়ন করিতে পারিবে? উপমহাদেশের উচ্চ আদালত সমূহের সিদ্ধান্ত রহিয়াছে তাহাতে এরুপ আগন্তুক ব্যক্তির উক্ত মানহানিকর মামলা দায়েরের কোন অধিকার নাই।
সবিস্তারে বলিতে গেলে, কোন আইনজীবি (উদাহারনস্বরুপ) যদি কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আনয়ন করিতে চাহেন তাহা হইলে উক্ত বাদী-আইনজীবিকে দেখাইতে হইবে যে কথিত আসামী অভিনেতা বা অভিনেত্রীর কর্তৃক মানহানিকর বক্তব্য collection of persons হিসাবে ঐ নিদৃষ্ট আইনজীবিদেরকে-ই টার্গেট করিয়া বলা হইয়াছে (That the complainant was the target). আইনের ভাষায় বলিতে গেলে Such collection of persons should be identifiable and definite. A defamation case will not lie merely on the ground that the complainant falls under the category of ‘class of persons' but unidentified.
Eastwood v Holmes (1858) মামলায় বিচারপতি Willie বলেনঃ
"If a man wrote that all lawyers were thieves, no particular lawyer could sue him unless there is something to point to the particular individual.”
Lord Atkins ও Knupffer v. London Express Newspaper (1944) মামলায় উক্ত বিষয়টি সমর্থন করিয়াছেন।
প্রফেসর স্যামন্ড (Salmond) এর বরাতে এই বিষয়ে ব্যাখ্যায় বলা যায় যে, মানহানির মামলায় এরুপ ডাক্তার বা আইনজীবি বা অন্য কেউ ক্লাস অব পার্সনস হিসাবে নিজের সংক্ষুব্ধতা প্রকাশ করিয়া মামলা করিতে চাহেন তাহা হইলে উক্ত বাদীকে দেখাইতে হইবে যে, আসামী যে মানহানিকর বক্তব্য দিয়াছেন তাহা বাদীকে Refer করিয়া দেওয়া হইয়াছে। Vague generalization এর উপর কোন মানহানিকর মামলা চলিবে না। প্রফেসর স্যামন্ড বলেন, “ Thus no action would lie at the suit of anyone for saying that all mankind is vicious and depraved or even for alleging that all clergymen are hypocrites or all lawyers are dishonest.”
ভারতীয় নজিরের দিকে তাকাইলে দেখা যায় সেইখানকার উচ্চ আদালতসমূহ Vagueness and Indefinite গ্রাউন্ডে মানহানির মামলা অচল মর্মে অনেক সিদ্ধান্ত প্রদান করিয়াছেন। Asha Prakash and Ors v The State of Bihar (1977) মামলা এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। উক্ত মামলার ঘটনার প্রকাশ এইরুপ যে, Nadan নামক এক সিনেমায় এক অ্যাডভোকেট চরিত্র ছিলো। বাদীর দাবী ছিলো উক্ত চরিত্র অ্যাডভোকেট সমাজের জন্য মানহানিকর। ফলে, সমগ্র অ্যাডভোকেট সমাজের পক্ষে বাদী সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালক-প্রযোজকদের বিরুদ্ধে উক্ত মানহানির মামলা আনয়ন করেছিলেন। কিন্তু পাটনা হাইকোর্ট নির্ধারণ করেন যে, এভাবে Vague গ্রাউন্ডে Wholesale Basis এ মানহানির মামলা চলতে পারে না। পাটিনা হাইকোর্ট তার রায়ে বলেন,
“If they contain no reflection upon a particular individual or individuals, but equally apply to others although belonging to the same class, an action for defamation will not lie.... the class of person attributed to must be a small determinate body. Advocates as a class are incapable of being defamed. If any publication can be shown to refer specifically to particular individuals then alone an action for defamation may lie, not otherwise.”
সুতরাং, দেখা যায় যে, অ্যাডভোকেট বা কোন পেশাজীবি হিসাবে কোন অভিনেতা-অভিনেত্রী-লেখক-সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বাদীকে শুধু তিনি যে ঐ Class of Persons দের মধ্যে পড়েন হেতু তাহার মামলা করিবার অধিকার রহিয়াছে ইহা দেখানোই যথেষ্ট নহে বরং বাদীকে উহাও দেখাইতে হইবে যে, কথিত মানহানিকর বক্তব্য বাদী যে শ্রেণীভূক্ত উহা টার্গেট করিয়া কৃত হইয়াছে। উদাহরণ স্বরুপ Sahib Singh Mehra র মামলার কথা বলা যাইতে পারে। উক্ত মামলায় বর্ণিত এক পত্রিকায় আলিগড়ের সমস্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এবং সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরদের দূর্ণীতিবাজ এবং নিয়মপরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার বিষয়ে রিপোর্ট হইলে ভারতীয় উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত প্রদান করেন যে, কথিত মানহানিকর বক্তব্য আলীগড়ের পিপি/এপিপি দের লক্ষ্য করিয়া বলা হইয়াছে যাহা Definite, Specific and identifiable; ফলে, আসামীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা চলিতে পারে।
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ নাটক-সিনেমায় অভিনয় বা পুস্তক-পত্রিকায় কোন রচনা প্রকাশের অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালক-প্রযোজক বা লেখক-সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হওয়া সমীচীন কিনা?
এক কথায় এই প্রশ্নের উওর প্রদান সমীচীন হইবে না। ইহা লেখার মান এবং মানহানিকর বক্তব্যের গ্রাভিটির উপর নির্ভর করিবে। তবে সাদামাটা চোখে যা দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মামলার বাদী নাম নিজেকে আলোচনায় আনিবার জন্য উক্তরুপ মামলা দায়ের করিয়া থাকেন যাহা অনভিপ্রেত। ইহা আদালত এবং প্রসিকিউশনের উপর একটি বোঝাও বটে।
Shah Rukh Khan vs State Of Rajasthan And Ors. on 20 August, 2007 মামলায় ভারতীয় সুপারস্টার শাহরুখ খান 'রাম জানে' নামক এক মুভিতে হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করেন। উক্ত সিনেমায় তিনি তিনটি হত্যাকান্ড সংঘটিত করিয়া বিচারের সম্মুখীন হইলে এক পর্যায়ে তিনি দোষ স্বীকার করিবার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন কিন্তু তাহার আইনজীবি তাহাকে রক্ষা করিতে চাইলে তিনি আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করিয়া বলেন যে, উক্ত আইনজীবী টাকার নিকট তাহার নীতি, মূল্যবোধ এবং আইনকে বিক্রি করিয়াছেন এবং একজন অপরাধীকে বাচাইবার প্র্য়াস করিতেছেন যাহার মাধ্যমে অপরাধীরা আইন হইতে রক্ষা পাইয়া যায়। হিরোর এরুপ বক্তব্য মানহানিকর দাবী করিয়া জনৈক আইনজীবী শাহরুখ খান সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একখানা মানহানির মামলা আনয়ন করেন। উক্ত মামলায় আদালত আসামী শাহরুখ খান সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ Abuse of Process মর্মে Quash করিয়া আসামীগনকে মামলার দায় হইতে অব্যহতি প্রদান করেন।
Shah Rukh Khan vs State Of Rajasthan And Ors. 20 August, 2007 মামলা এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে, উক্ত মামলায় নাটক-সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে প্রদত্ত ডায়লগ মানহানিকর হইতে পারে কিনা তৎবিষয়ে বিশদ আলোকপাত করেন। উক্ত মামলায় আদালত বর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ প্রপোজিশন সমূহের চুম্বকাংশ এভাবে বর্ণনা করা যাইতে পারেঃ
এক. ফিল্ম, নাটিক, বই বা সাহিত্যকর্ম এইগুলি সৃজনশীল কর্ম। উক্ত সৃজনশীল কর্মে কিছু Prize Speech রহিয়াছে। সাধারণ মতামত বা সৃজনশীল কর্মে মানহানিকর মামলা দায়ের হইলে উক্ত Prize Speech এর কোন মূল্যায়ন থাকে না।
দুই. যে কোন অপরাধমূলক কর্মে আসামীর অপরাধী মনোবৃত্তি বা Criminal Mind (Intention) থাকা বাঞ্চনীয়। কিন্তু অভিনেতা-অভিনেত্রীগণ শুধুমাত্র পরিচালক বা নাট্যনির্দেশক দের স্ক্রিপ্ট বা নির্দেশনা অনুযায়ী তাহাদের চরিত্র উপস্থাপন করেন। S/He is merely parroting an imaginary character. যেহেতু কাউকে আঘাত দেওয়া বা কারো মানহানিকর কোন পূর্ব উদ্দেশ্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থাকে না ফলে তাহাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলা আনয়ন অযৌক্তিক।
তিন. যিনি বা যাহারা আইনগতভাবে কোন কাজ করিতে বাধ্য থাকেন তিনি বা তাহারা যদি সদ্বিশ্বাসে কোন কর্ম করিয়া থাকেন তাহা হইলে তাদের উক্ত কর্ম অপরাধের আওতা বহির্ভূত হইবে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কর্মও উক্ত বিধানের আওতায় মানহানির অভিযোগ হইতে অব্যহতিপ্রাপ্ত হইবে। [দ.বি. ধারা ৭৯]
চার. অপরাধ হইবে কোন ব্যক্তির সেই আচরণ যাহা Social Order এ impact ফেলিতে পারে এবং যাহা সমাজ কর্তৃক Serious Condemnation এর আওতাধীন। কিন্তু বিনোদনের জন্য যে অভিনয় বা শিক্ষনীয় পুস্তক রচনার মধ্যে এইরুপ Social Impact বা Social Condemnation না থাকায় তাহা অপরাধের আওতাধীন হওয়া উচিৎ নহে।
মূলত কবি-সাহিত্যিক বা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিজস্ব চরিত্রের বাহিরে ভিন্ন চরিত্র রহিয়াছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, John Keats ২৭ অক্টোবর ১৮১৮ সালে Richard Woodhouse-কে একখানা পত্র লিখেন যাহাতে তিনি বলেন যে ' কবিদের যে Poetical Character রহিয়াছে তাহাতে কবির কোন নিজস্বতা নাই। অনুরুপভাবে An actor's skillful execution of a role represents his personal craft, not his personal opinion or intention. ফলে, একজন অভিনেতার অভিনয় দক্ষতার জন্য তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হওয়া অনুচিত। সর্বোপরি, বাক-স্বাধীনতা সংবিধান প্রদত্ত একটি মূল্যবান Gift. সৃজনশীল কর্মের দরুন যদি কাউকে মানহানির মামলায় পড়িতে হয় তাহা হইলে সংবিধান প্রদত্ত বাক-স্বাধীনতার মূল্য থাকে না। John Stuart Mills এর ‘ On Liberty (1859)’ হইতে কতিপয় বাক্যাংশের আলোকপাত করিয়া অদ্যকার রচনার যবনিকাপাত টানিবো। John Stuart Mill বলেন, যদি মানুষের মতামতকে চেপে ধরা মানে প্রকারান্তরে Human Race কে Robbing করা; শিল্প-সংস্কৃতির উপর খড়্গ আরোপ মানে Tyrannical System কে আহ্বান করার নামান্তর। মুক্ত চিন্তার স্বাধীনতা দূর্ণীতি এবং বিশৃংখল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ।
একটা মামলা অর্থ শুধু একটা মামলা নয়। ইহা Tension Creator. সৃজনশীল কর্ম এবং সদ্বিশ্বাসে মতামত প্রকাশের জন্য যদি কাউকে আদালতের কাঠগড়ায় উঠিতে হয় ইহা একাধারে সৃজনশীলতার বিনাশ ঘটানোর পাশাপাশি ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনকে সংকুচিত করিয়া দেয়। ফলে, মানহানি মামলা দায়েরে যেমন সতর্কতা জরুরি তেমনি উক্ত মামলা গ্রহণের বিষয়েও আদালতের বিচক্ষণ ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ!
লেখাটি সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ আল-ইমরান খান -এর ফেসবুক থেকে নেয়া হয়েছে। (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv/এমিজান্নাত