সা্তক্ষীরায় টিকাদান কার্যক্রমে নানা অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে । টিকা গ্রহীতাদের অভিযোগ, মোবাইলে টিকা দেয়ার ম্যাসেজ পাওয়ার পরও কেন্দ্রে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও টিকা দিতে না পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের । এমনকি টিকাদান কেন্দ্র গুলোর দীর্ঘ লাইনে উপক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি । এ অবস্থায় অদৃশ্য এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় অনেকে।
এ চিত্র সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের । এ দৃশ্য দেখলে বোঝার উপায় নেই যে মহামারীর এ সময়ে করোনায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে । অথচ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা বার বার হলেও তা উপেক্ষা করেই গাদাগাদি করে এভাবেই লাইনে দাড়িয়ে টিকা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে শত শত মানুষ । এ অবস্থায় মরণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় অনেকে ।
টিকা গ্রহীতোদের অভিযোগ, ১০ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় সিনোফার্মের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলে প্রথম দুই দিনে শুধুমাত্র সদর হাসপাতালেই প্রতিদিন ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হয । বর্তমানে টিকা দেয়া হচ্ছে মাত্র ১৫০জনকে। এমন বাস্তবায়তায় মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার পরও টিকা দিতে না পেরে প্রতিদিনই ফিরে যাচ্ছে শত শত মানুষ।
আরও পড়ুন:
প্রতিবন্ধী শিশু পাপের ফল: এই বার্তার জন্যই সরিয়ে ফেলা হলো নিশো-মেহজাবীনের নাটক
অক্সিজেন এক্সপ্রেস নামে বিশেষ ট্রেন দেশে এসেছে
মানহানি মামলা লইয়া দেশে এক প্রকার নৈরাজ্য চলিতেছে
বর্তমানে ১৫০ জনকে টিকা দেয়ার কথা স্বীকার করে সংশ্লিস্টরা বলছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই টিকার পরিমান বাড়ানো হবে।
টিকা গ্রহীতাদের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
সাতক্ষীরায় প্রথম দফায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন এক লাখ ৪ হাজার ১৮২ জন। এর মধ্যে টিকা দেন ৮৩ হাজার ৭১৪ জন।
news24bd.tv/এমিজান্নাত