পানির নিচে সুন্দরবন

পানির নিচে সুন্দরবন

Other

পূর্ণিমার ভরা কটালে স্বাভাবিকের তুলনায় ২৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চার ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন। সুন্দরবনের সব থেকে উচু এলাকা চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন এলাকা দুই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, বনবিভাগের স্টেশন ও ক্যাম্পের রাস্তাঘাট এবং নিচু অবকাঠামো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এদিকে পশুর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে মোংলা উপজেলার কানাইনগর, কাইনমারী, চিলা, সিন্দুরতলা, জয়মনি, বুড়িরডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকা।

একই ভাবে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর দেড় থেকে দুই ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানগুছি নদীর
তীরবর্তী জনপথগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবনসহ বন সন্নিহিত উপকূলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় এখানে এক রমক বন্যা পরিস্থিরি সৃষ্টি হয়েছে।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, বিশেষ করে প্রতি পূর্ণিমার গোনেই স্বাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি কিছুটা বেড়ে থাকে।

তবে এবার পূর্ণিমার জোয়ারে অনেক বেশি পানি হয়েছে, যা আগে কখনও এতো পানি হয়নি। রোববারের দুপুরের জোয়ারে করমজলের বনের ভেতরে ৪ ফুট পানি বেড়েছে। দুই ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে কেন্দ্রের উঁচু এলাকার রাস্তাঘাট ও নিচু স্থাপনাও।

তবে, করমজল প্রজনন কেন্দ্রের হরিণ, কুমির, বিলুপ্তপ্রাঢ প্রজাতির বাটাগুল বাচকা কচ্ছপসহ সব বন্যপ্রাণী নিরাপদ রয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, পূর্ণিমার ভরা গোনের প্রভাবে সুন্দরবনসহ বন সন্নিহিত বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়েও ২৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। মূলত শুক্রবার থেকে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার ১৫ সেন্টিমিটার, শনিবার ২১ সেন্টিমিটার ও রোববার ২৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। চলতি এ গোন শেষের সাথে সাথে নদীর পানিও কমে আসবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:


বিভিন্ন জেলায় করোনা ও উপসর্গে মৃত্যুর তথ্য

গার্মেন্টস খোলার ব্যাপারে যা জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

কখন লকডাউন বাড়ানো লাগবে না জানালেন তথ্যমন্ত্রী

ময়মনসিংহ মেডিকেলে করোনায় ‍মৃত্যুর রেকর্ড


 news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক