ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে যা করবেন

ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

সুস্থ থাকতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে এর মধ্যে একটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। তা হলো, দেহে যেন পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। তৃষ্ণার অপেক্ষায় না থেকে সারাদিন এক দুই চুমক পানি মুখে দিতে হবে।

নয়তো দেহে ডিহাইড্রেশন দেখা দেবে। এতে অবসাদ হয়ে পড়ে দেহ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ডিহাইড্রেশন শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোতে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিহাইড্রেশন কীভাবে আমাদের শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

 

ডিহাইড্রেশনের কারণে, ইলেক্ট্রোলাইটের স্তর খুব কমে যেতে পারে, যা মস্তিষ্কে সমস্যা তৈরি করে। ইলেক্ট্রোলাইটগুলো খুব কম হয় তবে এ কোষগুলোয় কোনো সঙ্কেত পাঠাতে পারবে না।  

ফলে পেশিতে স্ট্রেন থেকে শুরু করে খিচুনি পর্যন্ত হতে পারে। শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে, কোষগুলো মস্তিষ্কে তৃষ্ণার সঙ্কেত পাঠায়। তবে ডিহাইড্রেশন মস্তিষ্ককে অন্যান্য উপায়ে প্রভাবিত করে। ডিহাইড্রেশনের সঙ্গে মন মেজাজ সরাসরি সম্পর্কিত। আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশনের ম্যাগাজিন অনুসারে, ডিহাইড্রেশনের প্রভাবে কোনো কাজ ২ শতাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন স্মৃতিশক্তিকেও প্রভাবিত করে।

শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে কোষগুলো হাইপোথ্যালামাসে একটি সঙ্কেত প্রেরণ করে, যা ভ্যাসোপ্রেসিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে। রক্ত তৈরি করতে শরীরের তরল প্রয়োজন হয়। শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে রক্তের স্তরও হ্রাস পায়। শরীরে পানির অভাবের কারণে হাইপোটেনশন বা নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে। এই কারণে ওই ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে আর যা থেকে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, চোখে চাপ, ঘুমের মতো সমস্যা হতে পারে।

আরও পড়ুন:

চীনে গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৪

এনএসও'র দাবি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহারে বিশ্বের লাখো মানুষ ঘুমাতে পারছে

পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ল পচেত্তিনোর


 

হজম প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব হজম সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি প্রয়োজন। বর্জ্য পদার্থগুলো শুধু পানির মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয় এবং হজম ব্যবস্থা ঠিক থাকে। পানির অভাব সরাসরি ত্বকেও প্রভাব ফেলে। ফলে ত্বক শুকিয়ে যেতে শুরু করে। অনেক সময় ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। এ জন্য কমপক্ষে ২ লিটার পানি আপনাকে পান করতেই হবে। সুস্থ ত্বকের জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে 
সব সময় তৃষ্ণার্ত থাকা ডিহাইড্রেশনের অন্যতম লক্ষণ। তাই পানি এবং পানিপূর্ণ ফল খেতে হবে। গরমের দিনে ডাবের পানি বা লেবুর শরবতের মতো ঠাণ্ডা বেভারেজও উপকার দেবে। এ ছাড়া স্যুপ, সালাদ, দইসহ অন্যান্য পানিপূর্ণ ফল ও খাবারে ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি মিলবে। বাইরে গেলে সব সময় বোতলে করে পানি নিন।

news24bd.tv/আলী