ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নেবে লক্ষাধিক ছাত্রনেতা

ছাত্রলীগের সম্মেলনে অংশ নেবে লক্ষাধিক ছাত্রনেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলনে সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক ছাত্রনেতা অংশ নেবে। এই সম্মেলন ইতিহাসের সেরা সম্মেলন হবে।

আজ দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এসব কথা বলেন। আগামী ১১ ও ১২ মে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

নিজেদের শতভাগ সফল দাবি করে সোহাগ বলেন, আমরা কতটুকু সফল বা ব্যর্থ তার নির্ণয় করার দায়িত্ব সারাদেশের ছাত্রসমাজের, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছাত্রলীগ কর্মীদের। আর গণমাধ্যমের বন্ধুদের। তবে আমরা আন্তরিকতার কোনো ত্রুটি রাখিনি। নিজের জন্য কোনো সময় ব্যয় করিনি।

সংগঠনের কাজেই সময় ব্যয় করেছি। সফল হওয়ার জন্যই কাজ করছি।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, আমরা শতভাগ সফল দাবি করতেই পারি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেছি। যখন যে নিদের্শনা দিয়েছেন তা করেছি। আমাদের দায়িত্ব পালনকালে যত সফলতা আছে, সেগুলো ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের প্রত্যেক সদস্যের। আর যদি কোন ব্যর্থতা থাকে তার দায়ভার আমরা দুই ভাই (সভাপতি-সম্পাদক) নিয়ে নিচ্ছি। তবে একথা বলতে পারি, কোনো ত্রুটি রাখিনি দায়িত্ব পালনকালে। সকলের সহযোগিতা পেয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আসন্ন সম্মেলন ইতিহাসের সেরা সম্মেলন হবে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক ছাত্রনেতা অংশ নেবেন। আগামী ১১ মে বিকাল ৩টায় সম্মেলন শুরু হবে।

প্রথমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শোক প্রস্তাব, সাংগঠনিক রিপোর্ট, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নিদের্শনামূলক বক্তৃতার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এরপর সংগঠনের অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।

কেমন নেতৃত্ব আসবে ছাত্রলীগে- এমন প্রশ্নে সোহাগ বলেন, ভালো কর্মীর পাশাপাশি মেধাবী ছাত্র। ক্লিন ইমেজ, দলের প্রতি কমিটেড, যার পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যিনি সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

এসময় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, যাকে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন হবে, যিনি মেধাবী, পরিশ্রমী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী তাকেই নেতা বানানো হবে।

ছাত্রলীগে শিবির ও অনুপ্রবেশকারী থাকার অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকার্ষণ করলে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এটা কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা করতে পারেন। কিন্তু ঢালাওভাবে এটা বলা ঠিক না। কারণ আমরা যখন কমিটি করি তখন যাচাই-বাছাই করেই কমিটি করি।

এ সময় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তেজগাঁও কলেজ, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরসহ বেশ কয়েকটি কমিটির উদাহরণ দিয়ে বলেন, মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে বলেই আমরা তাকে নেতা বানিয়েছি। একজন ত্যাগী কর্মীর প্রতি অন্যায় আমরা মেনে নিতে পারি না। যাচাই-বাছাই করেই কমিটি দেই। কাজেই অভিযোগগুলো সঠিক না।

এ সময় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী এনায়েত, এম আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক দিদার মো. নিজামুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-দফতর গোলাম মোস্তফা, স্কুল ছাত্রবিষয়ক উপ-সম্পাদক সৈয়দ মো. আরাফাত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
 

সম্পর্কিত খবর