আইসিটি সেক্টরে ভারতের সহযোগিতার বিষয়ে আমরা আশাবাদী : পলক

আইসিটি সেক্টরে ভারতের সহযোগিতার বিষয়ে আমরা আশাবাদী : পলক

অনলাইন ডেস্ক

ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে সহযোগিতা আরো প্রসারিত করবে ভারত  এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আজ (২৭ জুলাই ২০২১) বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত ‘আইসিটিতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা সম্প্রসারণ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই আশাবাদ ব্যক্ত করনে।   সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।  

ভারতীয় হাই-কমিশনার দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি অদূর ভবিষ্যতে  বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে  আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

মতবিনিময় সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো প্রসারিত হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার অর্থায়ন করছে।  

এছাড়া গত ২৭ মার্চ, ২০২১ ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ‘বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট)’ নামক একটি প্রকল্প স্থাপনে ভারতীয় অনুদানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতার আওতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও আইসিটি শিল্পের বিকাশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ২৫.০০ (পঁচিশ কোটি ) টাকা ভারতীয় অনুদান দেয়া হবে।

এই প্রকল্পে মোট ৬১.০২৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে যার বাকী অংশ (৩৬.০২৫৯ কোটি টাকা) বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে। এখান থেকে আগামী দুই বছরে প্রায় আড়াই হাজার প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটি এবং অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।   এ ছাড়াও ৩০ জনকে ৬ মাসের জন্য ভারতে আইসিটির উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কম্পিউটার সফটওয়্যার এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল এর এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মি. গুরমিত সিং এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মি. স্বন্দীপ নারুলা এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব বিকর্ণ কুমার ঘোষ।  

আরও পড়ুনঃ


দ. কোরিয়ার কোন গালিও দেয়া চলবে না উত্তর কোরিয়ায়

তালেবানের হাত থেকে ২৪ জেলা পুনরুদ্ধারের দাবি

কাছাকাছি আসা ঠেকাতে টোকিও অলিম্পিকে বিশেষ ব্যবস্থা


 

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ।  

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শহীদ উল মুনির, উই এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা প্রমুখ। শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মার্কেটিং কনসালটেন্ট তামজিদ বিন আহমেদ এর সঞ্চালনায় বিটুবি নেটওয়ার্কিং সেশনে দুই দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির কোম্পানিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসায়িক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।

news24bd.tv/আলী

তিনি বলেন, ভারতীয় হাই-কমিশনার দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি অদূর ভবিষ্যতে  বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে  আশাবাদ ব্যক্ত করেন।