ইসলামে মিসওয়াকের গুরুত্ব ও ফজিলত

ইসলামে মিসওয়াকের গুরুত্ব ও ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার ইসলামী পদ্ধতিগুলোর একটি হলো মিসওয়াক। মিসওয়াক পবিত্রতা ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মিসওয়াক মুখের পবিত্রতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায়। ’ নাসায়ি।

 

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত মিসওয়াক করে তাঁর দাঁতগুলো পরিষ্কার রাখতেন। তাঁর দাঁতগুলো এতটাই ঝকঝকে রাখতেন যে, তিনি কথাবার্তা বললে মনে হতো যেন দাঁত থেকে আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে। হুজাইফা (রা.) বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুম থেকে উঠতেন তখন মিসওয়াক করে নিতেন। ’ বুখারি।

মিসওয়াক করার ফজিলত:

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেন, মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মিসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তরগুণ বেশি ফজিলত রয়েছে। (বায়হাকি)

মিসওয়াকে আল্লাহর রিজামন্দি হাসিল হয়।

দারিদ্র্যতা দূর হয়ে সচ্ছলতা আসে এবং উপার্জন বাড়ে।

পাকস্থলী ঠিক থাকে ও শরীর শক্তিশালী হয়।

স্মরণশক্তি ও জ্ঞান বাড়ে, অন্তর পবিত্র হয়, সৌন্দর্য বাড়ে।

ফিরিশতা তার সঙ্গে মুসাফাহা করেন, নামাজে বের হলে সম্মান করেন, নামাজ আদায় করে বের হলে আরশ বহনকারী ফিরিশতারা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

শয়তান অসন্তুষ্ট হয়।

ফুলসিরাত বিজলীর ন্যায় দ্রুত পার হবেন এবং ডান হাতে আমলনামা পাবেন, ইবাদতে শক্তি পাবে।

মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হবে, জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করা হবে। পূত-পবিত্র হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে।

news24bd.tv নাজিম