ভিএনসিসির অধ্যক্ষ পদে নির্দলীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি বিএনপির

ভিএনসিসির অধ্যক্ষ পদে নির্দলীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি বিএনপির

অনলাইন ডেস্ক

অবিলম্বে ভিকারুননেসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের দলবাজ, সন্ত্রাসী প্রিন্সিপালকে অপসারণপূর্বক ন্যায়-নিষ্ঠ, ভদ্র, আদর্শবান, সত, নির্ভিক ও নির্দলীয় শিক্ষককে প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ দেয়ার আহবান জানিয়েছেন  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ভিকারুননিসা নূনস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং একজন অভিভাবকের ফোনালাপ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবী জানান।  

তিনি বলেন, ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে অতীতে স্বনামধন্য, যোগ্য শিক্ষকরাই দায়িত্ব পালন করে প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন।

আজকে দূর্ভাগ্য যে, বর্তমান সরকারের আমলে শুরু থেকেই ক্রমাগত নির্লজ্জ দলীয়করণ, ভর্তি বানিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মান-মর্যাদা ধুলিস্যাত করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও একজন অভিভাবকের ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ফাঁস হওয়ায় এখন সমালোচনার ঝড় বইছে। ফোনালাপের সময় অধ্যক্ষ কামরুন নাহার কথা বলার এক পর্যায়ে একজন অভিভাবককে বলেন, “আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো ... বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগবো, আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি দেশছাড়া করবো।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের মতো দায়িত্বশীল পদে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী-ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকাশিত ফোনালাপেই বোঝা যায় কি তার পরিচয়। কি তার চরিত্র। এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এই দলবাজ, সন্ত্রাসী মহিলা যিনি কথায় কথায় ক্ষমতার দাপটে অস্ত্র ও লীগ নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি দেয়, প্রকাশের অনুপযোগী অশ্রাব্য অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, তার হাতে শিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রী,অভিভাবকসহ কেউই নিরাপদ নয়।  

আরও পড়ুনঃ


দ. কোরিয়ার কোন গালিও দেয়া চলবে না উত্তর কোরিয়ায়

তালেবানের হাত থেকে ২৪ জেলা পুনরুদ্ধারের দাবি

কাছাকাছি আসা ঠেকাতে টোকিও অলিম্পিকে বিশেষ ব্যবস্থা


 

দলবাজ সরকার দলীয় আধিপত্য বিস্তার ও বজায় রাখতে এরকমশিক্ষিকাকে বসিয়ে এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস ও ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চায়।   ভোটবিহীন সরকারের চরিত্র, ভাষা, ব্যবহার যে ধরণের, তাদের পছন্দের ব্যক্তিরাও একই ধরণের হবে-এটাই স্বাভাবিক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই একই অবস্থা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে দলীয় অনুগত, এমনকি নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদেরকে ভিসি বা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মর্যাদা ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে।

news24bd.tv/আলী