করোনায় ইন্দোনেশিয়ায় রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত ৪৫ হাজারের বেশি

করোনায় ইন্দোনেশিয়ায় রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত ৪৫ হাজারের বেশি

অনলাইন ডেস্ক

করেনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে ইন্দোনেশিয়ায় সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুই হাজার ৬৯ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যু সাড়ে ৮৬ হাজারের বেশি। একই সময়ে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি।

মোট শনাক্ত ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে।

ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ‘উর্বরভূমি’ বলা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়াকে। বিশ্বের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ইন্দোনেশিয়ায় মহামারির বর্তমান গতি ও আক্রান্তের হার নতুন কোভিড ধরনের উৎপত্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। যা কি না ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে।

গত সপ্তাহে দৈনিক আক্রান্তের হারে ভারত ও ব্রাজিলকে অতিক্রম করেছে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশটিতে দৈনিক গড়ে ৫০ হাজার জনের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত ও দেড় হাজারের মতো মৃত্যু হচ্ছে।

মহামারি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট সবসময় এমন অঞ্চল বা দেশগুলোতে শুরু হয়, যারা সহজে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

আরও পড়ুন


দাঁড়িয়েছিলেন করোনা পরীক্ষার জন্য, সেখানেই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

বরিশালে টিসিবি পণ্য কিনতে দীর্ঘ লাইন, ক্রেতাদের অভিযোগ

ডেঙ্গু চিকিৎসায় রাজধানীতে ৬ ডেডিকেটেড হাসপাতাল

জীবন রক্ষা না পেলে জীবিকা দিয়ে কী হবে: ওবায়দুল কাদের


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, পাঁচ শতাংশের বেশি করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ হলে মহামারি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না। ইন্দোনেশিয়ায় করোনা মহামারি শুরুর পর ১৬ মাস ধরে আক্রান্তের হার ১০ শতাংশের বেশি ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। সুতরাং বিশেষজ্ঞরা সহজেই অনুমান করছেন, ইন্দোনেশিয়ায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা সুপার ভ্যারিয়েন্ট তৈরির শঙ্কা যথেষ্ঠ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি গবেষক দল ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, সেখানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের রয়েছে শঙ্কা। ভাইরাস যত বেশি ছড়ায় তত বেশি নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি ত্বরান্বিত হয়। ঈদুল আজহার কারণে ইন্দোনেশিয়ায় করোনা ভাইরাস আরও বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ইতোমধ্যে উঠে এসেছে। এর আগে ঈদুল ফিতরের পর সংক্রমণ অনেকাংশে বেড়েছিল। বেড়েছিল মৃত্যুও। এবারও তেমন হওয়ার শঙ্কা প্রবল।

news24bd.tv এসএম