‌‌‘ভাঙন আতঙ্কে রাজবাড়ী শহর’

‌‌‘ভাঙন আতঙ্কে রাজবাড়ী শহর’

Other

রাজবাড়ী শহর তীর সংরক্ষণ রক্ষা বাঁধ। ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ের কাজ শেষ হয়েছে এক মাস যাবৎ। কাজ শেষ হতে না হতে দ্বিতীয় বারের মতো ভাঙন দেখা দেয়। এর আগে ১৬ জুলাই শহর রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার এলাকা ভেঙ্গে যায়।

এতে রাজবাড়ী শহর তীর সংরক্ষণ এলাকার সাধারণ মানুষ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধার পরে রাজবাড়ী শহরের গোদার বাজার এলাকায় ১০০ মিটার কংক্রিটের ব্লক বিলিন হয়ে যায়। খবর শুনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড রাতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে থাকে।

কিন্তু সকাল পর্যন্ত গোদার বাজার এলাকায় অন্য আরো চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়।

সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচটি স্থানে ২০০ মিটার এলাকায় কংক্রিটের সিসি ব্লক পদ্মায় বিলিন হয়ে যায়। এছাড়া অনেক স্থানেই ফাটল দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব মাত্র ১৫ মিটার। ফলে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী শহর রক্ষায় পদ্মা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ কাজ হয়েছে মোট পাঁচ কিলোমিটার এলাকায়। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর আর বরাট ইউনিয়নে সাড়ে তিন কিলোমিটার নতুন করে নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়। যার ব্যয় হয় ৩০০ কোটি টাকা। আর গোদার বাজার এলাকায় দেড় কিলোমিটার কাজ সংস্কার করা হয়। যার ব্যয় ছিল ৭৬ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের জুনে শুরু হয় কাজ শেষ হবার কথা ছিল ২০২০ সালের জুনে। কাজের মেয়াদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের মে মাসে শেষ করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে নদী শাসন করল স্থায়ীভাবে। সেই কাজ এত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে এটা মানা যায় না। কোথাও বড় ধরনের ঝামেলা আছে সেটি তদন্ত করে বের করা উচিৎ।

রাজবাড়ী শহরের বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিক শামীম রেজা বলেন, পদ্মা নদী থেকে রাজবাড়ী শহরের দূরত্ব এক কিলোমিটারের কম। শহর বাঁচানোর জন্য সরকার নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করেছিল। সেটি কাজ শেষ হবার পরেই ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন রাজবাড়ী শহরই হুমকিতে।

স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল রবি বলেন, এই কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছ। ভালো করে তদন্ত হওয়া উচিৎ। কারণ পদ্মা এখান থেকে ৭/৮ কিলোমিটার দূরে ছিল। ভাঙতে ভাঙ্গতে রাজবাড়ী শহরের কাছ এসে ঠেকেছে। এখনো প্রতিরোধ করা না গেলে শহর পদ্মায় গ্রাস করবে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, ২০১৬ সালে দিকে পদ্মা নদী শাষণের ডিজাইন করা হয়। পাঁচ বছর পরে পদ্মার চরিত্র অনেক পাল্টে গেছে। কাজের মান ঠিক আছে। পদ্মার এই চরিত্র পাল্টানোর কারেণে এখানে ভাঙ্গন হয়েছে। আর অনেক আগেই আমরা মন্ত্রণালয়কে এখানে ভা‌ঙনের সম্ভাবনা জানিয়েছিলাম এবং অতিরিক্ত পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছি। আর ভাঙ্গন রোধে আমরা জিও ব্যাগ ফেলছি।

আরও পড়ুন:


করোনায় ঝালকাঠির আদালতের বিচারকের মৃত্যু!

নরসিংদীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন স্প্রে

মমেক হাসপাতালে ৫০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিলেন সিটি মেয়র ও চেম্বার সভাপতি


news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর