টানা বৃষ্টিতে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে নদ-নদীতেও পানি বেড়েছে। এ কারণে প্রতিদিন দুই বেলা জোয়ারের সময় নদ-নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। যদিও ভাটির সময় নেমে যাচ্ছে পানি।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে আগামী ২/১ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মিলন হাওলাদার জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি একই অবস্থায় রয়েছে। লঘুচাপের কারণে গতকাল থেকে কখনও মাঝারী আবার কখনও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
অব্যাহত বৃষ্টির কারণে বরিশালের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছে তারা পড়েছেন বিপাকে। যানবাহন স্বল্পতার কারণে কাক ভেজা হয়ে অনেক মানুষকে রাস্তায় হাটতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
তিন টিকার নেয়ার দাবি: কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন
লকডাউনে ছেলের বিয়ের আয়োজন, অর্থদন্ড দিলেন ইউপি সদস্য
মাস্ক পরানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে আমার কিছু প্রস্তাব
করোনা আক্রান্তকে সমাজচ্যুত করার মানসিকতা বন্ধ করি
এদিকে লঘুচাপের কারণে সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং অভ্যন্তরীন নদী বন্দরে জারি করা হয়েছে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত। অব্যাহত বৃষ্টির ফলে নদ-নদীর পানি বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ২.৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও পানি বেড়েছে সকল নদ-নদীতে। এ কারণে জোয়ারের সময় নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় দুই বার জোয়ারের সময় ডুবছে নিম্নাঞ্চল। তবে ভাটির সময় পানি নেমে যাচ্ছে।
news24bd.tv এসএম
