সব ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র লেনদেন অবৈধ

সব ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র লেনদেন অবৈধ

অনলাইন ডেস্ক

বিটকয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন অবৈধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে বিটকয়েনসহ ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন বা সহায়তা প্রদান এবং এর প্রচার থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বিটকয়েন ও অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে সিআইডির কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

এরই প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে এ বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অনলাইনের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির সংখ্যা এখন আট হাজারের বেশি। এগুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ১ বিটকয়েনের বর্তমান দর ৩৩ হাজার ডলারের বেশি।

২০০৮ সালে এই মুদ্রা উদ্ভাবনের পর বিশ্বের কোনো আইনগত কর্তৃপক্ষ এই মুদ্রাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে জাপান, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো কয়েকটি দেশ এই মুদ্রায় লেনদেনকে বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো ভার্চুয়াল মুদ্রা/ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত নয়। সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পত্রের মাধ্যমে পাঠানো মতামতের অংশবিশেষ কোনো কোনো পত্রিকায় খন্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।  

সবার সচেতনতার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন হতে বিরত থাকার বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। সেখানে যে অবস্থান বাংলাদেশ ব্যাংকের ছিল, এখনও তাই রয়েছে।  
 
সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে যে কোনো ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) লেনদেন অথবা এরূপ কার্যে সহায়তা দেওয়া ও এ সম্পর্কিত প্রচারণা হতে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় অনুরোধ করা যাচ্ছে।

সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে বলা হয়, ক্রিপ্টোকারেন্সির মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন স্বীকৃত না হলেও এটিকে অপরাধ বলার সুযোগ নেই।  

গত ১৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের সহকারী পরিচালক শফিউল আজম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সিআইডিকে পাঠান। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২- এর আওতায় অপরাধ হতে পারে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সিআইডি এ নিয়ে অনুসন্ধান করতে পারে।


কিশোরকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী!

দেশে আত্মহত্যা বেড়েছে ৪০ শতাংশ

মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে বাঁচার দোয়া


ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচা ও এ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সিআইডি এমন দু'টি মামলার তদন্ত করছে। এর সূত্র ধরেই সংস্থাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে মতামত চায়।

news24bd.tv/আলী