দুঃসময়ে ইতালির হাল ধরতে চান পিরলো

দুঃসময়ে ইতালির হাল ধরতে চান পিরলো

সাহিদ রহমান অরিন

৫৮ বছর পর বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে ইতালি। তাদের অনুপস্থিতিতে অনেকটাই রঙ হারিয়েছে আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপ। আজ্জুরিরা না থাকায় ইতালিবাসীর ন্যায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল গোটা ফুটবল বিশ্ব। ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন কোচ জিয়ান পিয়েরো ভেনতুরা।

নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধাক্কার পর কেটে গেছে আট মাস। তবে বেদনা ভুলে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি) আট-ঘাট বেঁধে নেমেছে হাই-প্রোফাইল কোচের সন্ধানে। কোচ নিয়োগে ফেডারেশন হর্তা-কর্তাদের প্রথম পছন্দ ছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানের সাবেক কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু ইতালিয়ানদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

 

আনচেলত্তির পর প্রধান কোচের দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন রবার্তো মানচিনি। জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলে তার সঙ্গে সহকারী হিসেবে কে কাজ করবেন সেটা অবশ্য অজানাই রয়ে গেছে।  

তবে এরই মধ্যে নিজ দেশের জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সাথে যোগ দিতে নিজের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন অবসরে যাওয়া ইতালিয়ান তারকা আন্দ্রে পিরলো।

৩৮ বছর বয়সী পিরলো জানান, ‘আমি ফেডারেশন কমিশনার আলেসান্দ্রোর সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমার খুব ভালো বন্ধু। তার সাথে আমার প্রায় দেখা হয়। এখানে যদি কাজের সুযোগ থাকে, তবে সেটা হবে দারুণ বিষয়। আমি জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে কাজ করতে চাই। তবে এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনেক সময় আছে। যদিও আমি  কোচিং স্টাফে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞ হইনি। কিন্তু জাতীয় দলে কাজ করার সুযোগ পেলে সেটা মন্দ হবে না। ’

২০০৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী জুভেন্টাস ও এসি মিলানের সাবেক এই তারকা আরও জানান, ‘ইতালির নীল জার্সি সবসময়ই আমাকে কাছে টানে। বুট জোড়া তুলে রাখার পর আমার অনেক সতীর্থই কোচিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। যা দেখে আমি নিজেও বেশ অনুপ্রাণিত। মানচিনির সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। আমরা একসাথে কোচিং করানোর সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম। যদিও বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন। ’

১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের জার্সিতে ১১৬ ম্যাচ খেলেছেন ‌‌‌‘মিডফিল্ড জেনারেল’। গোল করেছেন ১৩টি।  

সূত্র: স্কাই স্পোর্টস 

সম্পর্কিত খবর