ধানের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে দৃষ্টান্ত স্থাপন

Other

ধানের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য সমন্বয় করে গেলো ৫০ বছরে ১০৬টি জাতের ধানের ফলন ফলিয়েছে এদেশের কৃষিবিজ্ঞানীরা। গেলো এক যুগে আবিস্কৃত ৫৬টি জাতের ধান দিয়ে এখন চাষ করা যায় লবণাক্ত, বন্যাপ্রবণ আর খরা অঞ্চলেও। ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক জানান, ২০৫০ সালকে টার্গেট করে উচ্চফলনশীল আরো কয়েক’শ ধানের জাত উদ্ভাবনের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন তারা।

দিগন্তজোড়া মাঠে সোনারঙ ধানের ছড়াছড়ি। মাঠের হলুদ-সবুজ রঙ বারবার মনে করিয়ে দেয় ধানই বাংলাদেশের আরেক পরিচয়। এ দেশে এক সময়ে ১৮ হাজার ধানের জাত ছিলো। কালের পরিক্রমায় এরই মধ্যে বাঁশফুল, তিলকাফুলি, ঝিঙ্গাশাইল,  বাদশাভোগ, দাদখানি এমন কতশত জাতই এখন বিলুপ্ত।

     

আবাদী জমি কমে যা্ওয়া, উচ্চফলনশীল জাতের সংকট, কৃষি উপকরণের উচ্চ মূল্য এমন নানা কারণে এক দশক আগেও ধান উৎপাদনে পিছিয়ে পড়েছিলো বাংলাদেশ। তবে, অবস্থা বদলেছে। ধান উৎপাদনে সোনারবাংলা বিশ্বে এখন তৃতীয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও দেশের কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত গবেষণা করে  ধানের উচ্চফলনশীল জাত আবিস্কার করছে। ধান গবেষষা ইন্সটিটিউটের ১০৬টি নতুন জাতের ধানের কয়েকটি ধরণ চাষ করা যায় দেশের লবণাক্ত, বন্যাপ্রবণ আর খরা অঞ্চলে। এর ফলে দেশে ধান উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণ।
তবে, সময়ের তুলনায় এমন অগ্রগতি সন্তুষজনক নয় বলে মত কৃষি বিশ্লেষক ড. জাহাঙ্গীর আলমের।

আরও পড়ুন:


বিট লবনের যত উপকার

ধানখেতে ৮ ফুট অজগর

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরকারীদের গ্রেপ্তার দাবি হানিফের


চলতি বছরের শেষের দিকে আরো বেশি প্রোটিন সম্মৃদ্ধ কয়েক জাতের নতুন ধান অবমুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ব্রি’র কৃষি বিজ্ঞানীরা। আর নতুন আবিস্কৃত বঙ্গবন্ধু জাতের ধান দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।   

news24bd.tv/আলী