করোনাকালে ই কমার্স বাণিজ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন

করোনাকালে ই কমার্স বাণিজ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন

Other

করোনাকালে ই কমার্স বাণিজ্যে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। এ সময় অনলাইন কেনাকাটা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-ক্যাব বলছে ডিজিটাল বাংলাদেশের বড় রূপান্তর ঘটেছে ই-কমার্স খাতে। মহামারীর এই সময়ে বেড়েছে নতুন নতুন উদ্যোক্তার সংখ্যাও।

এছাড়া স্মার্টফোন ব্যবহার এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবার হাত ধরে বড় বিপ্লব ঘটেছে অনলাইন কেনাকাটায়। অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে মানসম্মত পণ্য এবং আস্থা নিশ্চিত করে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।

সময় এখন ই-কমার্সের। মাত্র ৭ বছর আগে ই কমার্স বাণিজ্যের প্রসার শুরু হলেও চলতি বছর শেষে ই কমার্স  এর দেশীয় বাজার দাড়াবে ২৪ হাজার কোটি টাকা এমন পরিসংখ্যান দিচ্ছে ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন-ই-ক্যাব।

মহামারী করোনা পাল্টে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কারণে অভ্যাসেও এসেছে বড় পরিবর্তন। যা নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠছেন ই কমার্স উদ্যোক্তারাও।

ই-কমার্স উদ্যোক্তারা  বলছেন করোনাকালে অনলাইনে পণ্যের চাহিদা  বাড়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাড়াতে হয়েছে লোকবলও। ফলে এ খাতে কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে অনেক তরুণের।

করোনার এই সময়কে অনলাইন ব্যবসার কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেক  উদ্যোক্তা। এই যেমন খাবার সরবরাহ দিয়ে ফুডপান্ডার যাত্রা শুরু হলেও পরে যোগ হয় পান্ডামার্ট নামে আরেক প্রতিষ্ঠান। যেখানে চাল ডাল শাকসবজির মতো নিত্যপণ্যসহ ৮শ রকমের পণ্য বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। লকডাউনের এই সময়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অর্ডারের পরিমাণও।

ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের হিসাবে সারা দেশে অনলাইনে দৈনিক অর্ডার এর পরিমাণ এখন প্রায় ২ লাখ। সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা  প্রায় ১৬শ।   করোনার এই সময়ে নতুন সদস্য যুক্ত হয়েছে অন্তত সাড়ে ৫শ প্রতিষ্ঠান।

তবে কেবল রাজধানী কেন্দ্রীক নয়; দ্রুতগতির ইন্টারনেট; মানসম্মত পণ্য এবং সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে ই-বাণিজ্য রাজধানীর বাইরে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা।

অনলাইনে পণ্যের গুণগত মান এবং প্রতারণা ঠেকাতে এরই মধ্যে নীতিমালা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের বাড়তি সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

news24bd.tv/এমিজান্নাত