বিয়ের ১৪ বছর পর বৌভাত!

বিয়ের ১৪ বছর পর বৌভাত!

নাসিম উদ্দীন • নাটোর প্রতিনিধি

বৌভাতের আয়োজন। অতিথিরা এলেন। খাওয়া-দাওয়ায় অংশ নিলেন। আপ্যায়ন শেষে বিদায়ও নিলেন।

কিন্তু বৌভাতের যে অনুষ্ঠান হয়ে গেল, সেটি সম্প্রতি কোনো বিয়ের নয়। ১৪ বছর আগের এক বিয়ের বৌভাত!

কাল (১০ মে) এ রকমই এক ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল নাটোরের বাগাতিপাড়ায়। বরের সঙ্গে ১৪ বছর আগে যারা বরযাত্রী ছিলেন তারাও এসেছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। তারা সবাই উপহার পেলেন একই রকমের পোশাক।

আয়োজকরা জানালেন, ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর উপজেলার দয়ারামপুর কাজীপাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে কাজী আমানুর রহমানের সঙ্গে একই উপজেলার চকতকিনগর গ্রামের জাহেদ আলীর মেয়ে তাছলিমা খাতুনের বিয়ে হয়।

রমজান মাসে বিয়ে হওয়ার কারণে সে সময় বৌভাতের আয়োজন করা হয়নি। এ নিয়ে মনোকষ্টে ছিলেন স্বামী আমানুর ও স্ত্রী তাছলিমা। তারা স্থির করেছিলেন বৌভাতের আয়োজন একদিন হবেই। কিন্তু দিন-মাস-বছর গড়ালেও তা কিছুতেই হয়ে উঠছিল না।

একে একে তিনটি সন্তানের বাবা-মা হন সেই দম্পতি। বড় মেয়ে আমিনা (১০) পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বড় ছেলে আলিফের বয়স ৫ বছর, আর ছোট ছেলে আলভী ২০ দিনের নবজাতক।  

তবে ৩ সন্তানের জনক-জননী হলেও আমানুর-তাছলিমার সেই ইচ্ছের বাস্তবায়ন হলো বর কাজী আমানুর রহমান পেশায় একজন মাদ্রাসার শিক্ষক। বিয়ের সময় তার সঙ্গে বরযাত্রী হয়ে এসেছিলেন তারই মাদ্রাসার সহকর্মী-কর্মচারিসহ ২৪ জন।

কালকের বৌভাত অনুষ্ঠানেও নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাদের। সবাইকে উপহার দেয়া হয়েছিল একই রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা। সঙ্গে সাদা টুপি। এতে উচ্ছ্বসিত হন বরযাত্রীরা। তারা বলেন, এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখেননি।

কাজী আমানুর রহমান বলেন, ‘নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল অনেক বড় আশা। কিন্তু সে সময় অনুষ্ঠান করা যায়নি। তাই ভেতরে ইচ্ছে থেকেই যায়। অবশেষে সেই ইচ্ছে পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে। ’

নাসিম/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর