বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী থাকা ক্ষুব্দ গ্রামবাসী কেটে দিল পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ। গত ২৭ জুলাই থেকে পানিবন্দী থাকার পর সোমবার ভোর রাতে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রাজাপুর বটতলা পয়েন্টে বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশন শুরু করে তারা।
এদিকে সোমবার সকালে রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণে রাজাপুর এবং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের কালিয়ার খালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ কাটতে গেলে পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গত ২৭ জুলাই থেকে তিনদিনে প্রায় ৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে পরে উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ।
কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধিন ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়ি বাঁধে পর্যাপ্ত স্লুইসগেট নির্মাণ না করে অপরিকল্পিতভাবে ছোট করে অল্প সংখ স্লুইসগেট নির্মাণের কারণে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না।ফলে কৃষি খামার রাস্তা-ঘাট ও বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ৭০ হাজার মানুষ এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তারা ক্ষুব্দ হয়ে বাঁধ কেটে দেয়।
ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, রাতের আধারে কারা বাঁধ কেটেছে তা আমার জানা নেই।
রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, পানি ব্যবস্থাপনার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হয়তো বাঁধ কেটেছে।
উপকূল রক্ষা বেড়ি বাঁধ প্রকল্পের সিইসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বাঁধ নির্মান প্রকল্পের টিম লিডার মিস্টার হেরির নের্তৃত্বে সোমবার ৫ সদস্যের একটি টিম সরেজমিন ঘুরে পাইপ স্থাপন করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন, পানিবন্দী মানুষ অতিষ্ট হয়ে বাঁধ কেটেছে। গণহারে বাঁধ কাটার উদ্যোগ নিলে আমি তাদের বুঝিয়ে তা বন্ধ করেছি।
সোমবার (৩ আগস্ট) থেকে পাইপ স্থাপনের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশন শুরু করা হবে। এছাড়া স্থায়ী সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত স্লুইসগেট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পিয়াসা-মৌয়ের বিরুদ্ধে গুলশান-মোহাম্মদপুরে মামলার প্রস্তুতি
news24bd.tv তৌহিদ