এবার সরকারি তদন্তেও চট্টগ্রামের পটিয়ার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে অবৈধভাবে টিকা দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলো। সোমবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে আড়াই হাজারের বেশি টিকা প্রদানের প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারিরা। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের অন্তত ২শ কার্ড পাওয়া গেছে যেগুলো কয়েকমাস আগেই রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।
অথচ সব কার্ডই পূরণ করা হয়েছে দুই দিনের টিকা কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর। কমিটির কাছে উপস্থাপন করা ২৬শ কার্ডের ২২শ-ই ভূয়া বলে সন্দেহ করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।সব অভিযোগের তীর চট্টগ্রাম-১২ আসনের এমপি ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগি, পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই রবিউল হোসাইনের বিরুদ্ধে।
পটিয়ার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে সরকারি সিদ্ধান্তের এক সপ্তাহ আগে টিকা দেয়ার যে পোস্টার ডিজাইন হয়, তাতে স্পষ্টভাবে এই কার্যক্রম আয়োজনের জন্য হুইপ সামশুল হককে ধন্যবাদ জানান তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
তদন্তের সময় ২৬শ টিকা কার্ড কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। ২শ কার্ডে যে এনআইডি নম্বর পাওয়া যায়, সেগুলো কয়েকমাস আগেই রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। আরো ২ হাজার মানুষ, যারা বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে রেজিস্ট্রেশন করতে এসে ফিরে গেছেন, তাদের নামেও কার্ড করা হয়েছে।
এতে দুটি প্রশ্ন উঠে আসছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে।
১. যারা আগেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু টিকা নেননি, পরবর্তীতে তারা কিভাবে টিকা নেবেন?
২. যারা রেজিস্ট্রেশন করতে এসেও নানা কারনে তা পারেননি, তারা পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন কিনা? তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ এই টিকা কর্মসূচিতে কোনো নিয়মনীতিই মানা হয়নি।
আরও পড়ুন
শেখ কামাল: বহুমাত্রিক প্রতিভাবান সংগঠক
বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত জিয়াউর রহমান কেড়ে নিয়েছিলেন: কাদের
বরিশাল শেবাচিমে অক্সিজেনের দাবীতে বাসদের বিক্ষোভ
পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিসি ক্যামেরা থাকলেও ঘটনার দিনের কোনো ফুটেজ পায়নি তদন্ত কমিটি।
অভিযোগ আছে, শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে হুইপের বাড়ি লাগোয়া ক্যাম্পে, হুইপের ভাইও টিকা প্রদান করেছেন। মাত্র দুই দিনে ২৬শ টিকা প্রদান কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। এতে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে ধারণা স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের।
news24bd.tv/আলী