মানবেতর জীবনযাপন করছেন সিনেমা হল সংশ্লিষ্টরা

Other

করোনা বাস্তবতায় বন্ধ দেশের সকল প্রেক্ষাগৃহ। দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন সিনেমাহল কিংবা এর সাথে জড়িত হাজারো কলাকুশলী।  

রুপালী পর্দার মোহ পরাজয় মেনেছে বাস্তবতায়। জীবনের আরেক নাম এখন অনিশ্চয়তা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানসম্মত সিনেমার অভাব আর করোনার ভয়াল থাবায় স্থায়ীভাবে তালাবন্ধ হতে পারে দেশের বেশিরভাগ সিনেমাহল।  

ষাটের দশক থেকে শুরু করে নব্বই দশক পর্যন্ত সিনেমাহলের এসব আঙিনা ছিলো সিনেমাপ্রেমীর পদচারনায় মুখরিত। ছিলো ঢাকাই ছবির রমরমা বাণিজ্য, সেই সঙ্গে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট তারকা ও কলাকুশলীদের কর্মচাঞ্চল্য। আজ যা কেবলই ইতিহাস।

গতবছরের ১৮ই মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সিনেমা হল। মাঝে দুই তিন মাসের জন্য খুললেও দর্শক না আসার শঙ্কায় মিলেনি প্রত্যাশিত ভালো মানের সিনেমা। আবার কবে এসব হল খুলবে তারও উত্তর জানা নেই কারো।

ঢাকায় যে কয়টা প্রেক্ষাগৃহ এখনো ধুঁকে ধুঁকে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আনন্দ ও ছন্দ সিনেমা হল। সর্বশেষ গত মে মাসে পুরাতন সিনেমা পাষাণ দিয়ে কয়েকদিনের জন্য খোলা হয় প্রেক্ষাগৃহ দুটি। তবে মিলেনি কাঙ্খিত দর্শক আর তাই আবারো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ।

প্রজেক্টর অপারেটর মো. ওয়াসিম ৫মাসের বাড়িভাড়া দিতে না পারায় ছেড়েছেন বাসা। জমা পড়েছে সন্তানের স্কুলের বেতন। রুপালি পর্দার সাথে এক যুগেরও বেশি সময় কাটানো ওয়াসিম এখন সমাধান চান অনিশ্চিত এ জীবনের।

আরও পড়ুন


জাপানে এত বেশি ভূমিকম্প কেন হয়?

জাপানে অলিম্পিক আসরের মধ্যেই ভয়াবহ ভূমিকম্প

সাকিব-মোস্তাফিজ আইপিএল খেলতে পারবেন

গোয়েন্দার হাতে পিয়াসার ১৭ গোপন ভিডিও, মৌ’র বিয়ে ১১টি


এমন বাস্তবতা নিয়ে এরইমধ্য পেশা বদল করেছেন প্রেক্ষাগৃহের সাথে যুক্ত অনেক অভিজ্ঞ কর্মচারী। সিনেমাপ্রেমীদের আনাগোনায় একসময় মুখর থাকতো এই হলরুম। নানা কারণে এখন সেখানে সৃষ্টি হয়েছে শূন্যতা। সরকারি সুনজরের পাশাপাশি মানসম্মত সিনেমা পেলে আবারো মুখরিত হবে এই হলরুম। সেইসাথে দিন ফিরবে এরসাথে জড়িত হাজারো কলাকুশলীর জীবনে।

news24bd.tv নাজিম