পরীমনি কাণ্ডে ‘সুনসান এফডিসি’ এখন থমথমে

পরীমনি কাণ্ডে ‘সুনসান এফডিসি’ এখন থমথমে

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে আটক করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার তাঁকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গতকাল বিকেল ৪টার দিকে পরীমনির বনানীর বাসায় অবস্থান নেন র‌্যাব সদস্যরা। সন্ধ্যার পর পরীমনিকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করে র‌্যাব।

অভিযানের সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন।

রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে তাঁর বাসা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮টা ৪৫ মিনিটে গাড়ি কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছায়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‌্যাব।

পরীমণি গ্রেপ্তারের পর অনেকটাই থমথমে রয়েছে এফডিসি। করোনাভাইরাসের ফলে সরকারের জারি করা লকডাউনের বন্ধ রয়েছে এফডিসির সব কার্যক্রম। তার পরও এফডিসিস্থ সিনেমা সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলোর নেতাদের যাতায়াত চোখে পড়ে। চিত্রনায়িকা পরীমণি গতকাল রাতে গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি এখন 'টক অব দ্য কান্ট্রি'। তার হাওয়া লেগেছে লকডাউনে সুনসান থাকা এফডিসিতেও।

বৃহস্পতিবার এফডিসির গেটে গিয়ে দেখা গেল সেখানে চুপচাপ বসে আছেন দ্বাররক্ষীরা। পরীমনি গ্রেপ্তারের বিষয়ে এফডিসির ভেতরের অবস্থা তাদের কাছে জানতে চাইলে এরিয়ে যান তারা। বলেন, পরিস্থিতি ভালো না। এসব আমাদের কাছে জানতে চাইয়েন না। '

এফডিসির ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেল থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে চিরচেনা এফডিসি। এফডিসিতে শিল্পী-কলাকুশলীদের একটা সময় বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেঁটেছে। দিনরাত শুটিং চলেছে সেখানে। কিন্তু গেল কয়েক বছরে কমেছে সিনেমা নির্মাণ। এ অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত মানুষদের হাতে কাজ নেই বললেই চলে। কাজ না থাকলেও চিরচেনা এফডিসি লোকজনে মুখরিত থাকত সব সময়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে পুরো এফডিসির কোথাও শোনা যাচ্ছে না ‘লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন, কাট’।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো এফডিসি জুড়ে কোথাও নেই কোনো ব্যস্ততা, কারো মধ্যে নেই কর্মচাঞ্চল্য, কোনো স্পটেই লাইট-ক্যামেরার কাজ নেই, লোকের গুঞ্জন নেই, এফডিসিতে প্রবেশ করতে মূল ফটকে সাধারণ মানুষের হুড়োহুড়ি নেই।  

এদিকে, র‌্যাব সূত্র জানায়, পরীমনির বাসায় অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর কাছে দেশি-বিদেশি নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদ ছিল, যা বাংলাদেশে খুব কম আমদানি করা হয়।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর