১৬ দিনের রিমান্ডে পিয়াসা চক্রের মিশু ও জিসান

১৬ দিনের রিমান্ডে পিয়াসা চক্রের মিশু ও জিসান

Other

হত্যা, চাঁদাবাজি, চুরি, মাদকসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অন্তত ১১ মামলা থাকলেও পরবর্তীতে খোলস পাল্টায় মিশু হাসান। অভিজাত পড়ায় ডিজে পার্টির আড়ালে চালায় মাদক ও দেহ বাণিজ্য। বিত্তবানদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তাদের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চালাতো ব্ল্যাকমেইলিং। আমদানি নিষিদ্ধ গাড়ি, অস্ত্র, স্বর্ণ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন অবৈধ বাণিজ্যেও ছিল জড়িত।

আর এসব বিক্রির দায়িত্বে ছিল বিতর্কিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা।  

মিশু হাসান। রাজধানীর মোহাম্মদপুর তাজমহল এলাকায় বেড়ে ওঠা। অভিজাত এলাকা গুলশান বনানী থেকে দামী বিদেশী কুকুর ও গাড়ি চুরি করায় তার নাম পরে কুত্তা মিশু, আবার গাড়ি চোর মিশুও হয়।

২০০৪ সালে ছিনতাইয়ের এক মামলায় জেল থেকে বের হওয়ার পর সপরিবারে পারি জমায় যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর দেশে এসে শুরু করে অভিজাত এলাকায় আনাগোনা।

এরই মাঝে পরিচয় হয় ডিজে জামিল ও নাতাশা সঙ্গে। এরপর বিভিন্ন হোটেলে ডিজে পার্টির করে বিত্তবানদের মাদক ও নারীর যোগান দেয়া শুরু করে এই চক্র। পর্যায়ক্রমে আমদানি নিষিদ্ধ গাড়ি, অস্ত্র ও মাদকের রমরমা বাণিজ্য শুরু করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরই মাঝে পরিচয় হয় বিতর্কিত মডেল পিয়াসার সাথেও। এসব অবৈধ বাণিজ্যের পার্টনার হিসেবে যুক্ত হন পিয়াসা।

বিতর্কিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার গোপন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তার অন্যতম সহযোগী ও বিজনেস পার্টনার শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসান। তবে এর আগেই র‌্যাবের হতে ধরা পড়েন তারা।

মাদক, জাল টাকা, পর্ণোগ্রাফিসহ ৪ মামলায় মিশু ও জিসানের ১৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর পিয়াসা ও মৌয়ের কাছ থেকে প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইলিংসহ ২০১৮ সালে পুলিশ কর্মকর্তা ইমরান হত্যার বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার আদালতে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও পিয়াসা ও মৌয়ের রিমান্ড চাইতে পারে বলেও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।

news24bd.tv/এমিজান্নাত