রোগ-জীবাণু দূরে রাখে আদা

আদা

রোগ-জীবাণু দূরে রাখে আদা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আদা মূলত গাছের মূল। মসলা হিসাবে আদার ব্যবহার অনেক বেশি। রক্তের অনুচক্রিকা ও হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতে আদা দারুণ কার্যকর। খাদ্যে অরুচি, শরীরে ব্যাথা ও বমি বমি ভাব দূর করতে আদা কার্যকর ভূমিকা রাখে।

আদাতে এমন সব উপাদান রয়েছে যা রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে আদা বেশ উপকারী। কাঁচা আদার রস রোগ-জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষিত রাখে। আদা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু পাকস্থলীর প্রদাহের কারণে বছরে প্রায় তের লাখ চল্লিশ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়। ইতালির একদল গবেষক দাবি করেছেন, পাকস্থলীর এ ধরনের  প্রদাহ ও মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে পারে আদা।

ইতালির নাপোলি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানির নেতৃত্বে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এতে প্রাপ্ত ফলাফল ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, হেপাটোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন (ইএসপিজিএইচএএন)- এর বার্ষিক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বিশ্বে বছরে পনের শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয় পেটের প্রদাহের কারণে।  

অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ পেটের প্রদাহ। এ ক্ষেত্রে আদা যথেষ্ট উপকারী।  

গবেষণায় দেখা গেছে,  ১ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে আদা এতটাই উপকারী যে, গুরুতর পেটের প্রদাহ সমস্যায় বমির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনে এটি।

পাকস্থলীর প্রদাহের  জন্য স্যালমোনেলার মতো উচ্চ সংক্রমনশীল ব্যাকটেরিয়া  ও রোটা ভাইরাসের মতো জীবাণু দায়ী।

অন্য কোন পরজীবীর আক্রমণেও এ সমস্যা হতে পারে। বিশেষ্ণরা জানিয়েছেন খাবার ও পানীয় এর মাধ্যমে এর জীবাণু দেহে প্রবেশ করে।

বমি ও ডায়রিয়া রোগীর শরীরে খাবার, পানীয় ও ওষুধ শোষণে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে রোগীর চিকিৎসা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এটা শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।

অধ্যাপক রবার্তো বারনি কানানি আরো জানান, নেপলসে একটি হাসপাতালে ১৪০টি শিশুর ওপর তাঁরা গবেষণা পরিচালনা করেন। এ ক্ষেত্রে রোগী ও চিকিৎসক কাউকে না জানিয়ে, কোন শিশুকে ওষুধ, আর কোন শিশুকে আদার রস খাওয়ানো হয়েছে। ফলাফলে দেখা যায়, আদার রস খাওয়া শিশুরা ছিল সুস্থ। সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট

নিউজ টোয়েন্টিফোর/এএস

সম্পর্কিত খবর