লিওনেল মেসির সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ করতে বাধ্য হয়েছে বার্সেলোনা। নিজেদের আর্থিক দৈন্যদশার পাশাপাশি লিগ লিগ কর্তৃপক্ষের বেতন কাঠামোর নিয়মই ছিলো যার বড় কারণ, যদিও মেসি ও বার্সা দুই পক্ষই চেয়েছিলো মেসি যেন বার্সায় থাকতে পারেন। এমনকি নিজের বেতন অর্ধেক করে হলেও বার্সায় থাকতে চেয়েছিলেন মেসি।
গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মেসির আর বার্সেলোনায় থাকা হচ্ছে না এই ঘোষণা দেয় ক্লাবটি।
এর পর থেকেই শুরু হয় মেসির পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে গুঞ্জন। ইএসপিএন গতকাল এই প্রতিবেদনে জানায়, ফ্রান্সের জায়ান্ট দল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ক্লাবে যোগদান করতে চলেছেন মেসি। সোমবার প্যারিসে হতে পারে মেসির স্বাস্থ্য পরীক্ষা।আর এমন খবরে চটেছে বার্সেলোন।
বার্সেলোনার দাবি, পিএসজির অর্থনৈতিক অবস্থা বার্সার চেয়ে ভালো নয়। তারা কীভাবে মেসিকে দলে ভেড়াবে, প্রশ্ন কাতালুনিয়ান ক্লাবটির। অর্থনৈতিক অবকাঠামোর দোহাই দিয়ে মেসিকে ছাড়তে হয়েছে তাদের। পিএসজির অবস্থা নাকি আরও খারাপ।
বার্সেনোলার পক্ষে আইনজীবী ডক্টর হুয়ান ব্রানকোর ইউরোপিয়ান আদালতে করা অভিযোগে বলা হয়েছে, বার্সেলোনার তুলনায় পিএসজির ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের অবস্থা আরও খারাপ।
আরও পড়ুনঃ
সিরিজের শেষ ম্যাচে সাকিবসহ দুই পরিবর্তন
মেসির বিদায়ের দিনে রোনালদোর য়্যুভেন্তাসকে হারাল বার্সা
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৩ জনের মৃত্যু
পরীমণির-সাকলায়েন সম্পর্কের বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
২০১৯-২০ মৌসুমে তারা তাদের আয়ের ৯৯ ভাগই খেলোয়াড়দের বেতনের পেছনে খরচ করেছে। সেখানে বার্সেলোনা খরচ করেছে ৫৪ শতাংশ।
মার্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন মৌসুমে খেলোয়াড়দের পেছনে পিএসজির অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পিএসজিকে দিতে হবে সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমারদের বেতন। এর পেছনেই একটা বড় অংশ ব্যয় হবে ক্লাবের সভাপতি নাসের আল খেলাইফির। সেখানে মেসি গেলে সেই পরিমাণটা আরও বহুগুণে বাড়বে।
news24bd.tv/ নকিব