জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১টি দেশে বাড়ছে বন্যার ঝুঁকি। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তসরকার প্যানেলের আইপিসিসি’র প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আর ভয়াবহ এই পরিস্থিতির গুরুত্ব উল্লেখ করে, জাতিসংঘ মহাসচিব এ প্রতিবেদনকে মানবতার জন্য লাল সংকেত বলে উল্লেখ করেছেন।
মানুষের কর্মকাণ্ড এই পৃথিবীর জলবায়ুকে অল্প সময়ে যতোটা বদলে দিয়েছে, লাখো বছরেও তা ঘটেনি।
এসব পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রে আর সংশোধনের উপায় নেই। আইপিসিসি’র প্রতিবেদন বলছে, পৃথিবীর উষ্ণতা যেভাবে বাড়ছে তাতে বিপদ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিস্তৃত ও গভীর হচ্ছে। আইপিসিস‘র সহ লেখক, জলবায়ু বিজ্ঞানী ফ্রেড্রিক অটো, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।যা ঘটার তা ইতিমধ্যে ঘটে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দুই দশকের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যেতে পারে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১টি দেশে বন্যার বিপদ বাড়ছে। আগামী দিনে এই দেশগুলোতে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসও বাড়বে। ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান অন্যতম।
জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এ প্রতিবেদনকে মানবজাতির জন্য সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একইসঙ্গে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে বড় উদ্যোগ নিতে হবে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ ব্যাপক হারে কমিয়ে আনা গেলে বাড়তে থাকা উষ্ণতায় ভারসাম্য ফিরে আসতে পারে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই পরিবেশবিদ গ্রেটা থানবার্গসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পরিবেশবিদরা উদ্বেগ জানিয়েছেন। প্রকাশিত এই প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের নীতিনির্ধারকরাও নড়েচড়ে বসেছেন।
আরও পড়ুন
গ্রেফতারের পর একাধিকবার পোশাক পরিবর্তন করেছেন পরীমনি: সিআইডি প্রধান
নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়
ভারতে দীর্ঘদিন পর সংক্রমণ সর্বনিম্ন
news24bd.tv/এমি-জান্নাত