দুবছর ধরে করোনা সংকটে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তাঁত শিল্প। এতে ওই এলাকার অর্থনীতির চালিকাশক্তি শিল্পটি বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যারা শ্রমিক ছিলেন, চাকরি হারিয়ে অন্য পেশায় ঢুকে গেছেন। তাঁত মালিকরা কেউ ছোট ব্যবসা, কেউ কৃষিতে বিনিয়োগ করে সংসার চালাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার তাঁতশিল্প, এই এলাকার ঐতিহ্য হিসেবেই পরিচিত। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁত বুনে জীবিকা নির্বাহ করছেন কয়েক হাজার মানুষ। তৈরি হয়েছে অসংখ্য উদ্যোক্তাও। এ অঞ্চলের অর্থনীতিই তাই তাঁত নির্ভর। তবে এখন পাল্টাতে শুরু করেছে পরিস্থিতি।
যান্ত্রিকতা ও নগরায়ণের যুগেও যে তাঁত শিল্প টিকে ছিলো, করোনার আঘাতে তা আর বিলীন হওয়ার পথে। পর পর দুবছর তাঁত বন্ধ। ঈদের মৌসুমে ব্যবসা না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি বিপুল। ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য এগুলো বড় ধাক্কা। তাই একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁত।
শ্রমিকরা পেশা বদলে ফেলছেন। এলাকায় রিকশা চালানো, দিনমজুরি কিংবা রাজমিস্ত্রীর সাহায্যকারি হয়ে সংসারের খরচ জোগাচ্ছেন তারা।
সরকারি সহযোগিতা ছাড়া এই শিল্প বাঁচবে না বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫ থেকে ১৬টি গ্রামের মানুষ বংশ পরম্পরায় এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন:
বজ্রপাতে মারা গেলেন ধানখেতে কাজ করতে থাকা ২ কৃষক
বিলের ধারে পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের মরদেহ
news24bd.tv তৌহিদ