ইলিয়াস কীভাবে পরীমনি'র ভিডিওটি পেলেন?

ইলিয়াস কীভাবে পরীমনি'র ভিডিওটি পেলেন?

অনলাইন ডেস্ক

আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ও সদ্য বদলিকৃত ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলের একটি গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।  

সাবেক সাংবাদিক ও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় পরীমনি ও সাকলায়েনের ভিডিওটিআপলোড করা হয়।

ফাঁস হওয়া ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘পরীমনি ও পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের গোপন ভিডিও! সাকলায়েন পরীমনির সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেও তাদের গোপন একটি ভিডিও আমাদের কাছে পাঠান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা। ’

প্রশ্ন উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা একজন প্রবাসী ও সাবেক সাংবাদিক কীভাবে সংবেদনশীল এই ভিডিও পেলেন? কে বা কারা তাকে ভিডিওটি পাঠিয়েছে—তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।

তবে সাংবাদিক ইলিয়াস ভিডিওটি ‘একজন পুলিশ কর্মকর্তা’র কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে দাবি করেছেন ক্যাপশনে।

জানা গেছে, ফাঁস হওয়া ভিডিওটি ঈদের পরের। এডিসি সাকলায়েনের বাসায় ধারণ করা এটি। বাসায় পরীমনি, তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি এবং তার গাড়ি চালক উপস্থিত ছিলেন।

ভিডিওটি জিমি ধারণ করেছেন। বর্তমানে ডিবির হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছেন জিমি। প্রশ্ন উঠেছে, জিমি বর্তমানে ডিবির রিমান্ডে আছেন। তাহলে সাংবাদিক ইলিয়াস কীভাবে ভিডিওটি পেলেন? কে পাঠিয়েছে?

এ বিষয়ে ডিবি সূত্রের দাবি, পুলিশের কেউ এই ভিডিও ছড়াতে পারে না। তাছাড়া এই ভিডিও পুলিশের হাতে আসার কথা নয়। ভিডিওটি প্রবাসী সাংবাদিককে যিনি পাঠিয়েছেন, তিনি দুই পক্ষের পরিচিত কেউ। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যেই ভিডিওটি পাঠানো হয়েছে।

তবে সূত্রের ভাষ্য, পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের বাসায় পরীমনি যে গিয়েছিলেন এবং সিসি ক্যামেরার যে ফুটেজ ফাঁস হয়েছে, সেটিও কোনো পুলিশ সদস্যের মাধ্যমেই হতে পারে। কারণ সাকলায়েন রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ভিতরে একটি ভবনে থাকতেন। সেই ভবনের পুরো দায়িত্ব পুলিশের হাতেই।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো কর্মকর্তা যদি আচরণবিধি বা আইনলঙ্ঘন করেন, তাকে তার দায় নিতে হবে। পরীমনিকে নিয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

NEWS24.TV / কামরুল