এটা দিনের আলোর মত সত্য জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তার সাক্ষ্য-প্রমাণ কমিশনের মাধ্যমে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ১২ আগস্ট গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যখন এ মামলার তদন্ত হয় তখন জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়নি।
আইনের বাইরে গিয়ে একজনকে সাজা দেয়া যায় না। কিন্তু এই হত্যাকান্ডে যে জিয়াউর রহমান জড়িত সেটার সাক্ষ্য প্রমাণ কমিশনের মাধ্যমে জন সম্মুখে প্রকাশ করা হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশিলবদের খুঁজতে কমিশন গঠিত হবে।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার ব্যাপারে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধ পরিকর বলে আইনমন্ত্রী জানান।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের একজন বেঁচে থাকলেও হত্যাকারীদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, খুনিদেরকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ চলমান প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বিশদ কিছু বলতে গেলে এ প্রক্রিয়ার কিছু ব্যাঘাত হবে। তবে এই ব্যাপারে সরকারের কোন শিথিলতা নেই। খুনিদেরকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা সরকার চালিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও আলাপ আলোচনায় এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, যারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলেন শুধু তারাই এই হত্যাকান্ডে জড়িত নয়। এর পিছনে একটা ষড়যন্ত্র আছে এবং সেই ষড়যন্ত্রকারী কারা তাদেরকে অন্ততপক্ষে চিহ্নিত করে দেশের মানুষের কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার।
বজ্রপাতের সময় যে দোয়া পড়বেন!
১৬ বছরের কম বয়সীরাও এনআইডি কার্ড পাবে!
মন্ত্রী বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি কমিশন গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বিগত ৮ মার্চ, ২০২০ থেকে করোনার মহামারী শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই কমিশনের রূপরেখা কি হবে, কমিশনের কার্যাবলি কি হবে, কমিশন কাদের দ্বারা গঠিত হবে তা দেশবাসী জানতে পাবেন।
news24bd.tv/আলী